ত্বকের যত্নে জলের ভূমিকা তো অপরিহার্য। ছবি: সংগৃহীত
মাত্রাতিরিক্ত দূষণ, অনিয়মিত খাওয়াদাওয়া, জল না খাওয়ার প্রবণতা শুধু যে শরীরের উপর প্রভাব ফেলে তা নয়। ত্বকেও এর প্রভাব পড়ে। এগুলি ছাড়াও অত্যধিক হারে বাইরের ভাজাভুজি, তেল-মশলা জাতীয় খাবার খাওয়ার ফলে ত্বকে ব্রণ, র্যাশ দেখা দেয়। ত্বকের সমস্যার সমাধান করতে অনেকেই ভরসা রাখেন বাজারচলতি বিভিন্ন প্রসাধনীর উপর। এতে ত্বকের সমস্যার সাময়িক সমাধান হয়।তবে দীর্ঘ দিন ত্বক ভাল রাখতে শরীরের ভিতর থেকে পরিষ্কার রাখা প্রয়োজন। তার জন্য খাওয়াদাওয়াতে কিছুটা বদল আনা দরকার। ত্বকের যত্নে জলের ভূমিকা তো অপরিহার্য। তবে জল ছাড়াও ভিতর থেকে ত্বকের যত্ন নিতে ভরসা রাখতে পারেন ৩ টি জাদু পানীয়ে।
আমলকি ও অ্যালোভেরা রস
ত্বক ভাল রাখতে আমলকি এবং অ্যালোভেরা দুই-ই অত্যন্ত উপকারী। প্রতি দিন সকালে আমলকি ও অ্যালোভেরার রস মিশিয়ে খেলে ব্রণর সমস্যা থেকে দ্রুত দূর করা সম্ভব। এই দু’টি উপাদানেই প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে। ত্বক সুস্থ রাখতে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ভীষণ জরুরি।
বিভিন্ন মরসুমি ফলের রস
গরমকাল এলেই বাজারে দেখা মেলে তরমুজ, কমলালেবু, আঙুর, শসা, আমের মতো বিভিন্ন জলসমৃদ্ধ রসাল ফলের। গ্রীষ্মে এমনিও অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার জন্য শরীরে জলের পরিমাণ কম থাকে। জলের অভাবে ত্বকে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। জলের ঘাটতির কারণে শরীরের অন্দরেও বিভিন্ন সমস্যার জন্ম হয়। জলের পরিমাণ ঠিক রাখতে প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়ার পাশাপাশি ফলের রস তৈরি করে খেতে পারেন। ফলে থাকা বিভিন্ন পুষ্টিগুণ ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।
হলুদ ও লেবুর রস
বহুকাল আগে থেকেই অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান সমৃদ্ধ হলুদ ত্বকের যত্ন নিতে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। র্যাশ কিংবা ব্রণর হাত থেকে ত্বক সুরক্ষিত রাখতে হলুদের জুড়ি মেলা ভার। অন্যদিকে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ লেবু ত্বক সুস্থ রাখার অন্যতম উপাদান। রোজ সকালে খালি পেটে আধ কাপ জলে দু’চামচ পাতিলেবুর রস আর এক চিমটে হলুদ মিশিয়ে খেতে পারেন। ঘরোয়া উপায়ে যত্নে থাকবে ত্বক।