ছবি: সংগৃহীত।
সারা দিন পর বাড়ি ফিরে স্নান না করলেই নয়। তবে বর্ষায় মরসুম। বেশি রাতে স্নান করলে ঠান্ডা লাগার আশঙ্কা থেকেই যায়। ক্লান্ত শরীরে চুল শুকোনো পর্যন্ত অপেক্ষাও করা যায় না। বেশির ভাগ দিন ভেজা চুলেই শুয়ে পড়েন। মাথার উপর পাখা তো ঘোরেই। প্রয়োজনে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের যন্ত্রটিও চালিয়ে নেন। সকালে উঠতেই নাক বন্ধ হয়ে আসে। একের পর এক হাঁচি পড়তে থাকে। তবে, ভিজে মাথা বালিশে রাখার কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় চুলের। চুলের ডগা ফাটা থেকে মাথার ত্বকে সংক্রমণ— সবের নেপথ্যেই রয়েছে ভেজা চুল।
ভেজা চুলের গোড়া নরম হয়। তাই অল্প ঘষা লাগলেই ছিঁড়ে যেতে পারে। চুল অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যাওয়ার কারণও হতে পারে এটি। তা হলে কি স্নান করে চুল শুকোনো পর্যন্ত বালিশে মাথা রাখা যাবে না? রূপটান শিল্পীরা বলছেন, ভেজা চুলে ঘুমোতে গেলে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। সেগুলি আগে জেনে রাখা প্রয়োজন।
১) ভিজে চুল পুরোপুরি শুকোনো পর্যন্ত যদি অপেক্ষা করতে না পারেন, তা হলে ব্লো ড্রায়ার দিয়ে আধ-শুকনো করে নিতে হবে।
২) একান্ত যদি ভিজে চুলে ঘুমোতেই হয়, তা হলে বালিশে সাধারণ সুতির খোল পরানো চলবে না। বদলে সিল্কের খোল পরাতে হবে। চুল পড়ার ভয় কমবে। জটও পড়বে না।
৩) ভেজা চুলের জল বালিশ শুষে নেয়। সেই বালিশটি ভাল করে না শুকোলে তা ব্যাক্টেরিয়ার আঁতুড়ঘরে পরিণত হতে পারে। তাই সকালে ঘুম থেকে উঠে বালিশের খোল বদলে ফেলতে হবে। ভ্যাকিউম ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করার পর, কিছু ক্ষণ বালিশটি রোদে রাখতে পারলেও ভাল হয়।
এ ছাড়া আর কী কী জেনে রাখা প্রয়োজন?
১) চুল ভেজা অবস্থায় ঘুমোতে গেলে চুলে সিরাম মেখে নিলে ভাল হয়।
২) কোঁকড়ানো চুল স্বাভাবিক রাখার জন্য বিনুনি বেঁধে শোয়া যেতে পারে।
৩) চুল অতিরিক্ত শুষ্ক হলে মাথায় সিল্কের ‘ক্যাপ’ পরে ঘুমোতে পারেন। তাতে ঘর্ষণ কম হয়।