How arrange First Aid Box

প্রাথমিক চিকিৎসার বাক্সে প্রয়োজনীয় কোন জিনিসগুলি রাখা উচিত, তা জানেন কি?

‘অ্যাডভেঞ্চার’ করা তো মুখের কথা নয়। মসৃণ, পিচঢালা রাস্তায় তেমন কাজ করাও যায় না। কিন্তু নির্জন কোনও রাস্তায়, পাহাড়ি পথে পড়ে গিয়ে চোট পেলে কী করবেন?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৪ ১৯:২৫
Share:

‘ফার্স্ট এড’ বাক্সে কী থাকে? ছবি: সংগৃহীত।

রণ-বন-জল-জঙ্গল ঘুরতে যাওয়ার ব্যাপারে কোনও কিছুই তোয়াক্কা করেন না। ছুটি দেখে বেরিয়ে পড়লেই হল। তবে এমন সব দুঃসাহসিক কাজ করতে গিয়ে মাঝেমধ্যে তো বিপদের মুখেও পড়তে হয়। ‘অ্যাডভেঞ্চার’ করা মুখের কথা নয়! মসৃণ, পিচঢালা রাস্তায় তেমন কাজ করাও যায় না। কিন্তু নির্জন কোনও রাস্তায়, পাহাড়ি পথে পড়ে গিয়ে চোট পেলে কী করবেন? কিংবা বাইরে খাবার খেয়ে হঠাৎ যদি পেটব্যথা, বমি শুরু হয়, তা হলেই বা কার সাহায্য নেবেন? কাছাকাছি চিকিৎসকের সন্ধান না পাওয়াই স্বাভাবিক। সে ক্ষেত্রে হাতের কাছে নিজস্ব ‘আলাদিনের প্রদীপ’ অর্থাৎ ‘ফার্স্ট এড’ বাক্স রাখাই ভাল। কিন্তু তার মধ্যে কী কী রাখতে হবে?

Advertisement

১) ব্যান্ডেজ এবং পরিষ্কার করার সামগ্রী

প্রাথমিক চিকিৎসার বাক্সের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হল ক্ষত পরিষ্কার করার লোশন, তুলো এবং ব্যান্ডেজ। অনেকেই ব্যান্ডেজ এবং ব্যান্ড-এডের ব্যবহারিক পার্থক্য বুঝতে পারেন না। সেই সম্পর্কে সচেতন থাকা প্রয়োজন। ব্যান্ডেজ কিন্তু ব্যান্ড-এডের পরিপূরক নয়। দু'টি জিনিসের কাজ আলাদা। তাই বাক্সে দু’টিই রাখা প্রয়োজন। সামান্য কাটাছেঁড়াতে ব্যান্ড-এড ব্যবহার করা যেতে পারে। ক্ষত বেশি হলে ব্যান্ডেজ বাঁধতে হতে পারে। আগে এই সমস্ত ক্ষেত্রে তুলো ব্যবহার করা হত। কিন্তু তুলোর আঁশ ক্ষতস্থানে থেকে গেলে সেখানে সংক্রমণ হতে পারে। তাই এখন তুলোর বদলে স্টেরিলাইজ়ড গজ কাপড় ব্যবহার করতে বলেন চিকিৎসকেরা। এ ছাড়া অ্যান্টিসেপটিক দেওয়া ওয়াইপসও বেশ কাজের। পথে কোথাও কেটেছড়ে গেলে হাতের কাছে তুলো পাওয়া মুশকিল হতে পারে। সেই সময়ে কাজে লাগতে পারে এই ওয়াইপস। সঙ্গে অবশ্যই কাঁচি রাখতে হবে।

Advertisement

২) দেহের তাপমাত্রা মাপার জন্য থার্মোমিটার প্রয়োজন। তাই ‘ফার্স্ট এড’ বাক্সে একটি থার্মোমিটার রাখতেই হবে। তার আগে কী ভাবে তা ব্যবহার করতে হয়, কী ভাবে তাপমাত্রার পাঠ নিতে হয়, জেনে রাখা প্রয়োজন। মুখের ভিতর বা দেহের সংস্পর্শে থার্মোমিটার রাখলে তা পরিষ্কারও করতে হয় সঠিক ভাবে। প্রতি বার থার্মোমিটার ব্যবহার করার পর সেই পদ্ধতি মেনে যন্ত্রটি ধুয়ে রাখতে হবে। তবে রাস্তায় সে সব ঝক্কি পোহাতে যদি ভাল না লাগে, সে ক্ষেত্রে ‘থার্মাল গান’ও রাখা যেতে পারে।

৩) চিকিৎসকের পরামর্শ মতো সাধারণ কিছু ওষুধও রাখতে পারেন ‘ফার্স্ট এড’ বাক্সে। জ্বর, সংক্রমণ, ব্যথার ওষুধ, ঠান্ডা লাগা, গলাব্যথা, পেটব্যথা, পেটখারাপের ওষুধ কিংবা কাশির দাপট কমানোর জন্য লজেন্স রাখা যেতে পারে। এ ছাড়া যে সব ওষুধ নিয়মিত খেতে হয়, যেমন উচ্চ রক্তচাপ বা শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার ওষুধ তো সঙ্গে রাখতেই হবে।

৪) কোনও কোনও সময় ব্যথা লাগলে ঠান্ডা সেঁক দিতে হয়। আবার এমন কিছু যন্ত্রণা রয়েছে, যেখানে গরম সেঁক দেওয়ার কথা। সম্ভব হলে প্রাথমিক চিকিৎসার বাক্সে দু’টির ব্যবস্থাই রাখতে হবে।

৫) হঠাৎ পা মচকে গেলে বা হাড়ে চোট পেলে তৎক্ষণাৎ যন্ত্রণা সামাল দেওয়ার জন্য ব্যথা কমানোর ওষুধ তো খেতেই হবে। সঙ্গে যদি ব্যথা কমানোর স্প্রে থাকে, আরও তাড়াতাড়ি কাজ হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement