ছবি: সংগৃহীত।
শরীরচর্চা, ডায়েটের সঙ্গে ছোটখাট টোটকা মেনে চললে দ্রুত মেদ ঝরে। ফিট থাকতে অনেকেই দিন শুরু করেন অ্যাপল সাইডার ভিনিগারের সঙ্গে সঠিক পরিমাণে জলমিশ্রিত পানীয় খেয়ে। আবার কেউ কেউ মনে করেন, রোগা হতে অ্যাপল সাইডার ভিনিগার খাওয়া হুজুগ ছাড়া আর কিছুই নয়। যদিও এই তরলটি প্রোবায়োটিক, ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর। শুধু মেদ ঝরানোই নয়, অক্সিডেটিভ স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ করতে এবং তারুণ্য ধরে রাখতে এই ভিনিগার বেশ কাজের। কিন্তু মেদ ঝরানোর ক্ষেত্রে অ্যাপল সাইডার ভিনিগার ঠিক কতটা কার্যকর?
‘ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিন’-এ প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, ছিপছিপে হওয়ার নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছতে সাহায্য করে অ্যাপল সাইডার ভিনিগার। তবে, এই উপাদানটি সরাসরি খাওয়া যায় না। পরিমিত পরিমাণে জলে মিশিয়ে খেতে হয়। এমন কিছু ওষুধ রয়েছে যার সঙ্গে অ্যাপল সাইডার ভিনিগার খেলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। অতিরিক্ত পরিমাণে এই অ্যাসিড খেয়ে ফেললে আবার দাঁতের এনামেল নষ্ট হয়। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকলেও সতর্ক থাকতে হবে। গলা-বুক জ্বালার সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে কখনওই অ্যাপল সাইডার ভিনিগার খাওয়া উচিত নয়।
পুষ্টিবিদেরা বলছেন, বেশির ভাগ মানুষই সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে অ্যাপল সাইডার ভিনিগার খান। ডিটক্স পানীয় হিসাবে এই পানীয়টি দিনের শুরুতে খাওয়াই যায়। তবে মেদ ঝরানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি কার্যকর হল ভারী খাবার খাওয়ার আগে এই পানীয়টি খেয়ে নেওয়া।
অ্যাপল সাইডার ভিনিগার খেলে কী কী উপকার হয়?
১) নিয়মিত অ্যাপল সাইডার ভিনিগার খেলে হজম ভাল হয়।
২) রক্তে শর্করা বেড়ে যাওয়ার ভয় থাকে না।
৩) রক্তে ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল বা ‘এলডিএল’ এবং ‘ট্রাইগ্লিসারাইড’ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৪) অ্যাপল সাইডার ভিনিগার বিপাকহার বৃদ্ধি করে। যার ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৫) শরীরে জমা টক্সিন দূর করতেও সাহায্য করে এই পানীয়টি। ফলে লিভারের কাজকর্ম সঠিক ভাবে পরিচালিত হয়।