ডিম খেলেই কি অ্যালার্জি হতে পারে? ছবি: সংগৃহীত।
সকালে জলখাবারে পোচ থেকে রাতে চটজলদি ভুর্জি, ‘সর্বঘটে কাঁঠালি কলা’ ডিম। প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে ডিম অপরিহার্য। পুষ্টিকর, সহজলভ্য এবং সহজপাচ্য খাবার, ছোট থেকে বড় সকলেই খেতে পারে ডিম। কিন্তু ডিম খেলে অনেকেরই অ্যালার্জি হয়। খেতে ভাল লাগলেও অ্যালার্জির ভয়ে ডিম খেতে চান না অনেকেই। অ্যালার্জি থেকে চুলকানি, র্যাশ, ফোলা ভাব, ত্বক লাল হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা যায়। কিন্তু তা যে ডিম থেকেই হচ্ছে বুঝবেন কী করে?
খাবার থেকে অ্যালার্জি হওয়া অস্বাভাবিক নয়। বিশেষ করে প্রোটিনজাত খাবার থেকে অনেকেই অ্যালার্জিজনিত সমস্যায় ভোগেন। চিকিৎসকেরা বলছেন, শরীরের নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ডিমের মধ্যে থাকা প্রোটিনকে অনেক সময়ে ক্ষতিকর বলে মনে করে। ডিমের কুসুম এবং সাদা অংশ— দুটির মধ্যেই প্রোটিন থাকে। তবে ডিমের সাদা অংশ বা ‘অ্যালবুমিন’ থেকে অ্যালার্জি হওয়ার নজিরই বেশি।
ডিম থেকে অ্যালার্জি হচ্ছে কি না বুঝবেন কী করে?
ডিম খাওয়ার আধ ঘণ্টার মধ্যেই যদি ত্বকে অ্যালার্জির উপসর্গ দেখা দিলে বুঝতে হবে ওই ব্যক্তির ডিম খাওয়া চলবে না। চিকিৎসকেরা বলছেন, ডিম খাওয়ার পর যদি সারা শরীর চুলকাতে থাকে কিংবা মুখ, গলা ফুলে যায় তা হলে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। হাঁচি, কাশি, নাক থেকে জল পড়া কিংবা শ্বাসকষ্টও হতে পারে। অনেকের আবার পেটব্যথা, ডায়েরিয়া, বমিও হয়। তবে ডিম থেকে ‘অ্যানাফিলাক্সিস’-এ আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। এই ধরনের অ্যালার্জি কিন্তু প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে। তবে, শুধু ডিম নয়। কীটপতঙ্গের হুল, বাদাম, সামুদ্রিক খাবার কিংবা বেশ কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকেও ‘অ্যানাফিলাক্সিস’ হতে পারে।