অভিনেত্রী প্রিয়ঙ্কা চোপড়া জোনাস। ছবি: সংগৃহীত।
রোদে বেরোবেন, আর গায়ে রোদ লাগবে না, তা তো হয় না। সে যতই ছাতা, টুপি, সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন না কেন, দিনের শেষে বাড়ি ফিরে দেহের পোশাক-ঢাকা এবং অনাবৃত অংশের রঙের ফারাক দেখলেই বোঝা যাবে, কতটা কালচে দাগছোপ পড়েছে।
শরীরের অনাবৃত বিভিন্ন স্থানে রোদে পোড়া, কালচে দাগছোপ নিয়ে কায়দার ব্লাউজ় কিংবা ড্রেস পরতে অস্বস্তি হয় অনেকের। তাই সুরাহা পেতে সালোঁয় ছোটেন তাঁরা। খরচ করে মুখে কিংবা পিঠে ‘ডিট্যান’ করিয়ে আসেন। তাতে সাময়িক ভাবে ত্বক চকচকে হলেও তা দীর্ঘস্থায়ী হয় না।
তবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিন্তু এই সমস্যার সমাধান রয়েছে। এক সাক্ষাৎকারে বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়ঙ্কা চোপড়া জোনাস তেমনটাই জানিয়েছেন। তারকা মানেই যে তাঁদের রূপচর্চা প্রচণ্ড খরচসাপেক্ষ, এমন ধারণা সাধারণের মনে থাকতেই পারে। তবে বলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রী হয়েও প্রিয়ঙ্কা কিন্তু এই রোদে পোড়া ত্বকের জন্য মা-ঠাকুরমাদের দেওয়া ঘরোয়া টোটকার উপরেই ভরসা করেন। হেঁশেলের সামান্য কিছু উপকরণ দিয়েই তৈরি বিশেষ একটি প্যাক মেখেই রোদে পোড়া দাগ তুলে ফেলেন তিনি। জানেন, কী ভাবে সেই ‘ডিট্যান’ প্যাক তৈরি করতে হয়?
বাড়িতে এই প্যাক তৈরি করতে কী কী লাগবে?
অর্ধেক কাপ বেসন
২ টেবিল চামচ টক দই
অর্ধেক পাতিলেবুর রস
৪ টেবিল চামচ কাঁচা দুধ
১ টেবিল চামচ চন্দনের গুঁড়ো
এক চিমটে গুঁড়ো হলুদ
পদ্ধতি
প্রথমে একটি পাত্রে বেসন নিন। তার মধ্যে পরিমাণ মতো টক দই, চন্দনের গুঁড়ো, কাঁচা দুধ এবং গুঁড়ো হলুদ নিন। একেবারে শেষে পাতিলেবুর রস দিয়ে সমস্ত উপকরণ ভাল করে মিশিয়ে নিন। এ বার দেহের যে অংশে রোদ লেগে কালচে ছোপ পড়ে গিয়েছে, সেখানে মেখে রাখুন এই মিশ্রণ।
এই মিশ্রণটি যত ক্ষণ না পুরো শুকিয়ে যায়, তত ক্ষণ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। শুকিয়ে গেলে শুকনো হাতের তালু দিয়ে ঘষে ঘষে তা তুলে ফেলতে হবে। তার পর ঈষদুষ্ণ জলে মুখ ধুয়ে, স্নান সেরে নিলেই কালচে দাগছোপ দূর হবে।
তবে, এখানেই শেষ নয়। স্নান সেরে আসার পর অবশ্যই ‘এসপিএফ’ (সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টর) যুক্ত ভাল কোনও সানস্ক্রিন বা ময়েশ্চারাইজ়ার রাখতে হবে। না হলে চামড়ায় টান ধরতে পারে।