লাউ কী ভাবে ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণ করে? ছবি: সংগৃহীত।
গরমে শরীর, বিশেষ করে পেট ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে লাউ। তবে, সাধারণ ভাবে বাঙালি বাড়িতে লাউ-বড়ির ঝোল বা লাউ-ঘণ্টের চেয়ে মুখরোচক লাউ-চিংড়িরই কদর বেশি। কিন্তু শরীরের কথা যদি ওঠে, তা হলে সব চেয়ে বেশি কার্যকরী হল লাউয়ের রস। বিশেষ করে যাঁরা দীর্ঘ দিন ডায়াবিটিসের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের জন্য লাউ অব্যর্থ দাওয়াই। এ প্রসঙ্গে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, রোজ লাউ খেলেই যে সরাসরি রক্তে শর্করার মাত্রা হু হু করে কমতে থাকবে, এমনটা কিন্তু নয়। বরং রক্তে শর্করা যাতে বাড়তি না হয়, সে দিকে নজর দেবে লাউ। পাশপাশি, ডায়াবিটিস থেকে শরীরের অন্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলি যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে খেয়াল রাখবে।
লাউ কী ভাবে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখে?
১) লাউ বা লাউয়ের রসে ক্যালোরি একেবারে নেই বললেই চলে। তাই ডায়াবেটিকদের জন্য এই সব্জিটি নিরাপদ। আবার, যাঁরা স্বাস্থ্য সচেতন, ওজন নিয়ে চিন্তায় থাকেন, তাঁদের জন্যেও লাউ খুব ভাল।
২) লাউয়ের মধ্যে ফাইবারের পরিমাণ বেশি। যা কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ে সাহায্য করে। যাঁরা দীর্ঘ দিন ধরে ডায়াবিটিসের সঙ্গে ঘর করছেন, তাঁদের মধ্যে কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার প্রবণতা বেশি। তবে লাউ থাকতে চিন্তা নেই। নিয়ম করে লাউ খেলে এ সমস্যাও সহজে দূর করা যায়।
৩) দীর্ঘ দিন ধরে ডায়াবিটিস থাকলে মূত্রাশয় কিংবা কিডনি সংক্রান্ত জটিলতা দেখা দিতে পারে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে কিডনির কাজে, স্বাস্থ্য ভাল রাখতে লাউয়ের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে।
৪) শরীরের বহু রোগের উৎস-কেন্দ্র হল ডায়াবিটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ। একসঙ্গে দু’টি রোগ কারও শরীরে বাসা বাঁধলে অন্যান্য জটিলতাও বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। নিয়মিত লাউয়ের রস খেলে ডায়াবিটিস তো বটেই, হার্টের সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। কারণ, লাউয়ের মধ্যে রয়েছে পটাশিয়াম।
৫) হার্টের সমস্যার আরও বড় একটি কারণ হল ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, লাউয়ের রস এই খারাপ কোলেস্টেরলকেও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।