হাঁচি কমাতে গোলমরিচ আদৌ কোনও কাজ করে? ছবি: সংগৃহীত।
ঠান্ডা-গরমে সর্দি-কাশি কিংবা গলাব্যথা— ঘরোয়া টোটকা হিসাবে গোলমরিচ দেওয়া চা দারুণ কাজের। মরসুম বদলের সময় জ্বরভাব কাটাতেও গোলমরিচের উষ্ণতা চান অনেকে। আবার, অগুন্তি হাঁচি দিয়েই অনেকের দিন শুরু হয়। এই ধরনের সমস্যা ঠেকিয়ে রাখতে ঘরোয়া টোটকা হিসাবে অনেকেই সকালবেলা ঈষদুষ্ণ জলে এক চিমটে গোলমরিচ গুঁড়ো মিশিয়ে চায়ের মতো করে খেয়ে থাকেন। কিন্তু এই টোটকা কি সত্যিই অ্যালার্জি থেকে হওয়া সর্দি বা হাঁচি নিরাময়ে সাহায্য করে?
পুষ্টিবিদেরা বলছেন, গোলমরিচ রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা উন্নত করতে সাহায্য করে। এই মশলার মধ্যে রয়েছে ‘প্যাপেরিন’ নামক একটি উপাদান। যা আসলে এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। এই অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট যে ‘সর্বঘটে কাঁঠালি কলা’র মতো একটি জিনিস, সে কথা তো অনেকেই জানেন। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা, শরীরে জমা টক্সিন দূর করার ক্ষেত্রেও দারুণ কাজের এই গোলমরিচ। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে গোলমরিচ ক্যানসার প্রতিরোধক হিসাবেও কাজ করে। এ ছাড়া গোলমরিচের মধ্যে পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ভিটামিন বি রয়েছে।
গোলমরিচ শরীরের জন্য উপকারী, এ কথা ঠিক। গোলমরিচের ঝাঁঝালো গন্ধে বন্ধ নাক, মাথাধরার মতো সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা যেতে পারে। জ্বর-সর্দিতে গোলমরিচ দেওয়া চা খেলেও আরাম মেলে। তবে চটজলদি হাঁচি বন্ধ করতে এই টোটকা কতটা কার্যকর, সে বিষয়ে বিজ্ঞানসম্মত কোনও প্রমাণ মেলেনি।