ছবি : সংগৃহীত।
ত্বকের পরিচর্যায় ক্লিনজ়িং-টোনিং-ময়শ্চারাইজ়িং জরুরি। কিন্তু শীতকালে যখন ত্বকে টান ধরতে শুরু করে তখনও কি টোনিং জরুরি।
টোনার সাধারণত ত্বকে একটা টানটান ভাব আনে। ঠান্ডা ভাবও আনে। শীতকালে তাই ত্বকে টোনার ব্যবহারে অনীহা হতেই পারে। কিন্তু রূপটান শিল্পীরা বলছেন। টোনিংকে বাদ দেওয়া উচিত নয়। সেক্ষেত্রে যদি দোকান থেকে কেনা টোনার টান ধরা ত্বকে ক্ষতি করবে বলে মনে হয়, তবে প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি টোনার ব্যবহার করতে পারেন।
শিল্পা শেঠি, কৃতি শ্যাননদের মতো বহু নায়িকাকেই নিজেদের ত্বকের পরিচর্যার রুটিন বলতে গিয়ে এক বিশেষ ধরনের টোনার ব্যবহারের কথা বলতে শোনা গিয়েছে। শসা এবং কাঁচাদুধ দিয়ে তৈরি ওই প্রাকৃতিক টোনার কেউ রাতে শোওয়ার আগে ব্যবহার করার কথা বলেছেন। কেউ আবার বলেছেন, সারা দিন ধরেই সুযোগ পেলে ওই টোনার ত্বকে লাগিয়ে নেন তাঁরা। আপনিও বাড়িতে ওই টোনার বানিয়ে নিতে পারেন।
কী ভাবে বানাবেন?
প্রথমে একটি মাঝারি মাপের শসার অর্ধেক কুড়ে নিন। তার পরে তাতে ৩-৪ টেবিল চামচ দুধ দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। কিছু ক্ষণ রেখে একটি ছাঁকনি বা পরিচ্ছন্ন কাপড়ের সাহায্যে ওই মিশ্রণ ছেঁকে নিন। যে তরলটুকু পড়ে থাকবে সেটি একটি স্প্রে বোতলে ভরে ফ্রিজে রেখে দিন। চাইলে এতে দু’-এক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার অয়েলও মেশাতে পারেন।
কী ভাবে ব্যবহার করবেন?
সারাদিনে যতবার মুখ পরিষ্কার করার সুযোগ পাবেন, তার পরেই ওই টোনার মুখে স্প্রে করে নিতে পারেন। আবার রাতে শুতে যাওয়ার আগেও মুখ পরিষ্কার করে ওই টোনার লাগিয়ে নিতে পারেন। ফ্রিজে থাকলে ৫ দিন পর্যন্ত ওই টোনার ব্যবহার করা যাবে।
কী কী উপকার?
ক্ষতিকর রাসায়নিক এড়িয়ে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে ত্বকের পরিচর্যা। ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে এবং ত্বকের স্বাভাবিক ঔজ্জ্বল্য ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে ওই টোনার।