দিনভর কাজের শেষে আবার চুলের যত্ন? এ কথা বলবেন অনেকেই। কিন্তু প্রতি দিন যাঁদের কার্যসূত্রে বেরোতে হয়, ধুলো, ধোঁয়া, সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মির প্রভাবে চুলের ক্ষতি হয়ই। কারও বেশি, কারও আবার কম।
এই ক্ষতি রুখতেই ভরসা করতে পারেন ছোট্ট একটি ফলে। আমলকি। ভিটামিন সি এবং খনিজে ভরপুর ফলটি খেতে বলেন চিকিৎসক এবং পুষ্টিবিদেরা। শুধু ত্বক বা চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখতেই নয়, রোগ প্রতিরোধেও ফলটির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
বিভিন্ন ভিটামিন এবং খনিজে ভরপুর আমলকিতে রয়েছে ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস। তা মাথায় রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা বৃদ্ধি করে। চুলের যত্নে আমলকির ব্যবহার বহু পুরনো। অনেকেই নারকেল তেলে আমলকির থেঁতো করে দিয়ে ফুটিয়ে, সেই তেল মাখেন। তবে জানেন কি, আমলকির জল দিয়েও চুলের জেল্লা ফেরানো যায়।
আমলকির জলে কী কী উপকার?
চুলের বৃদ্ধি
আমলকিতে রয়েছে ভিটামিন সি। যা কোলাজেন প্রোটিন সংশ্লেষে সাহায্য করে। আমলকির জল খেলে এবং মাখলে তাই শরীর ভাল থাকে, চুলের বৃদ্ধিও ঠিকমতো হয়।
অকালপক্বতা
অনেকেরই কম বয়সে চুল পেকে যায়। সেই সমস্যার সমাধানও লুকিয়ে আমলকিতে। আমলকির জলে থাকে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, যা চুল ভাল রাখতে এবং পাকা চুলের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে।
প্রদাহ কমায়
মাথার ত্বকের ছোটখাটো সংক্রমণ, খুশকির সমস্যা কমাতেও আমলকির জল বিশেষ কার্যকর। মাথা চুলকানোর সমস্যাও কমতে পারে এতে।
এ ছাড়া আমলকিতে থাকা বিভিন্ন ভিটামিন এবং খনিজের গুণে চুলের গোড়া মজবুত হয়, রুক্ষ চুলে জেল্লা ফেরে।
কী ভাবে তৈরি করবেন আমলকির জল?
২ কাপ জলে একটি টাটকা আমলকি কুচিয়ে দিয়ে দিন। এ বার জল ফুটিয়ে নিন। আমলকি জলে ফুটে বাদামি বর্ণের হয়ে যাবে। এবার জল ঠান্ডা করে ছেঁকে বোতলে ভরে নিন। সপ্তাহে এক দিন এই জল মাথার ত্বক থেকে পুরো চুলে ব্যবহার করুন। আমলকি জল তৈরি করে স্প্রে বোতলে ভরে রাখতে পারেন। ফ্রিজে এটি সংরক্ষণ করা যায়। এর সঙ্গে পাতিলেবুর রস এবং কয়েক ফোঁটা মধু মিশিয়ে নিলে আরও ভাল ফল পাবেন।
চুল ধুয়ে নিন
শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার ব্যবহারের পর চুল ধুয়ে নিন আমলকির জলে। আমলকির জল দেওয়ার পর ২ মিনিট মাথার ত্বকে মালিশ করে ধুয়ে ফেলুন। এতে মাথার ত্বক আর্দ্র থাকবে, চুলেও জেল্লা আসবে।
চুল, ত্বক এবং শরীর ভাল রাখতে প্রতি দিন সকালে খালি পেটে অর্ধেক কাপ আমলকির জল খান।