— প্রতীকী চিত্র।
বয়স হবে, কিন্তু ত্বকে তার ছাপ পড়বে না— এমন স্বপ্ন থাকলেও সকলের পক্ষে তাকে বাস্তবায়িত করা বেশ কঠিন। নিয়মিত পরিচর্যার অভাব, অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া এবং বয়সের কারণে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা নষ্ট হয়। ফলে ত্বকের টানটান ভাব আর থাকে না। চামড়া ঝুলে পড়ে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নানা ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করেন অনেকে। অনেকে আবার খরচ করে নানা ধরনের চিকিৎসাও করান। তবে এত কিছু না করে কম খরচে ঘরে বসেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
১) পর্যাপ্ত জল
ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা ধরে রাখতে গেলে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেতে হবে। না হলে শরীরের পাশাপাশি ত্বকও ডিহাইড্রেটেড হয়ে পড়তে পারে। ফলে ত্বকে বলিরেখার সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।
২) মুখের ব্যায়াম
মুখের ফোলা ভাব কমাতে, পেশি সচল রাখতে এবং রক্ত চলাচল অব্যাহত রাখতে মুখের ব্যায়াম করা জরুরি। তার জন্য বিশেষ কিছু করতে হবে না। সমাজমাধ্যমে একটু খুঁজলেই মুখের নানা রকম ব্যায়ামের ভিডিয়ো পাওয়া যাবে। সেগুলো দেখেই অভ্যাস করতে পারেন।
৩) মাসাজ
মাসে এক বার সালোঁয় গিয়ে ফেসিয়াল করার পর মুখ বেশ চকচক করে। টানটান লাগে বেশ কিছু দিন। অভিজ্ঞরা বলছেন, মাসে একটা দিন মাসাজ করলে হবে না। ত্বকের টানটান ভাব ধরে রাখতে গেলে সাধারণ মুখে মাখার ক্রিম দিয়েই সঠিক পদ্ধতিতে নিয়মিত মুখে মাসাজ করতে হবে।
এ ছাড়াও ঘরোয়া কিছু টোটকা রয়েছে, যেগুলি ব্যবহার করলে বয়সকালেও মুখের চামড়া ঝুলে পড়ার সমস্যা ভোগ করতে হবে না।
নারকেল তেল:
রোজ রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে নারকেল তেল দিয়ে মুখের ত্বক মালিশ করুন। টানা মিনিট পাঁচেক মালিশ করতে পারলে ভাল। তার পরে ওই তেল লাগিয়ে রাখা অবস্থাতেই ঘুমান। সকালে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বক নমনীয় এবং টানটান হবে।
ডিম ও মধু:
ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে মধু মিশিয়ে একটা মিশ্রণ বানিয়ে নিন। তার পরে সেই মিশ্রণ মুখে লাগিয়ে নিন। ১৫ মিনিট এই অবস্থায় রেখে হালকা গরম জলে ধুয়ে ফেলুন। ত্বক টানটান হবে।
জলপাই তেল:
অলিভ অয়েল বা জলপাই তেল দিয়ে মুখ মালিশ করলে ত্বক টানটান হয়, বলিরেখা কমে। রোজ স্নানের পর কয়েক মিনিট ধরে জলপাই তেল দিয়ে মুখ মালিশ করুন। যত বেশি ক্ষণ মালিশ করতে পারবেন, ততই ভাল।