— প্রতীকী চিত্র।
যতই বর্ষাকালের নামে দোষ দিন না কেন, চুল পড়ার পিছনে হাজার একটা কারণ থাকে। খাওয়াদাওয়া, মানসিক চাপ, রক্তে বিভিন্ন উপাদানে ঘাটতি— এমন নানাবিধ কারণেই চুল পড়তে পারে। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না, চুল ঝরে পড়ার জন্য দায়ী হল চিরুনির ব্যবহার। সকালে ঘুম থেকে উঠেই কারও চুল আঁচড়ানোর অভ্যাস। আবার স্নান করেই ভিজে চুলে চিরুনি না দিলে অস্বস্তি হয় অনেকেরই। আবার আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে শ্যাম্পু করা চুল নাড়াচাড়া করতে ভাল লাগে বলে অকারণেই বার বার চিরুনি চালানোর অভ্যাস রয়েছে অনেকের। চিকিৎসকেরা বলছেন, অতিরিক্ত চুল আঁচড়ানোর এই অভ্যাস এবং ব্যবহারের দোষেও কিন্তু চুল ঝরে পড়ার পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। শারীরিক এবং মানসিক সব মাপকাঠি ঠিক থাকা সত্ত্বেও চুল পড়া আটকানো যায় না। আবার মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখতে চুল আঁচড়াতে বলেন চিকিৎসকেরাই। কিন্তু কত বার বা কী ভাবে আঁচড়ানো হচ্ছে, সে দিকে খেয়াল রাখাও জরুরি।
চুল পড়া রুখতে আঁচড়ানোর ক্ষেত্রে কী কী নিয়ম মেনে চলতে হবে?
১) সঠিক চিরুনি নির্বাচন
চুল ঝরে পড়া রুখতে প্রথমেই চুলের ঘনত্ব, ধরন বা দৈর্ঘ্য অনুযায়ী চিরুনি বেছে নিন। যদি এ বিষয়ে খুব বেশি জ্ঞান না থাকে, সে ক্ষেত্রে চোখ বন্ধ করে মোটা দাঁড়ার চিরুনি ব্যবহার করতে পারেন।
২) ধৈর্য ধরে জট খোলা
চিরুনি চালানোর আগে হাত দিয়ে চুলের জট ছাড়িয়ে নিতে হবে। না হলে চিরুনিতে আটকে চুল ছেঁড়ার আশঙ্কা বে়ড়ে যাবে। জট খোলার সময়ে কিন্তু তাড়াহুড়ো করলে চলবে না। হাতে যথেষ্ট সময় না থাকলে জট খুলতে যাবেন না।
৩) ডগার দিক থেকে আঁচড়ানো
চুলের জট হাত দিয়ে খানিকটা খোলার পর চিরুনি ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে চিরুনি চালাতে হবে চুলের ডগার দিক থেকে। নীচের দিক থেকে অল্প চুল নিয়ে আঁচড়াতে আঁচড়াতে উপর দিকে উঠতে হবে।
৪) ভিজে চুলে চিরুনি নয়
স্নান করেই চুল আঁচড়ানোর অভ্যাস একেবারেই ত্যাগ করতে হবে। স্নান করার পরে ভিজে চুলের গোড়া যথেষ্ট নরম থাকে। তাই সে সময়ে চিরুনি না চালানোই ভাল। হাওয়ায় খানিকটা শুকিয়ে নিয়ে চুল আঁচড়াতে পারেন।
৫) গায়ের জোরে নয়, হালকা হাতে
চুল নিয়ে যা-ই করুন না কেন, কখনওই তাড়াহুড়ো করা চলবে না। হাতে যথেষ্ট সময় না থাকলে চুল আঁচড়ানো থেকে চুল বাঁধা— চুল ঝরে পড়ার পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতে পারে।