— প্রতীকী চিত্র।
বৃষ্টির মরসুমে উষ্ণতা বজায় রাখতে অনবরত কফির কাপে চুমুক দিচ্ছেন। একঘেয়ে কাজ করতে করতে অবসাদ বা ক্লান্তি কাটাতে অনেকেই বার বার কফিতে চুমুক দেন। চাঙ্গা হতে কফির কোনও বিকল্প নেই। তবে অতিরিক্ত ক্যাফিন থেকেই শুরু হয় নানা রকম শারীরিক সমস্যা। সবচেয়ে প্রথম সেই প্রভাব পড়ে ত্বকে। ত্বকের ক্ষতি হতে পারে ভেবে হঠাৎ যদি কফি খাওয়া বন্ধ করে দেন, তা হলে ত্বকে কি আদৌ কোনও প্রভাব পড়তে পারে?
১) জলের ঘাটতি হয় না
অতিরিক্ত কফি খেলে শরীরে অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যায়। তাই সেই সঙ্গে কিডনিতে রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যায়। তাই বার বার প্রস্রাবের বেগ আসে। এর ফলে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে পড়তে পারে। কিন্তু কফি না খেলে এই ধরনের কোনও সমস্যা হয় না।
২) ত্বক শুষ্ক হয় না
বেশি কফি খেলে ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়তে পারে। ফলে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা নষ্ট হয়। কিন্তু এই অভ্যাসে ছেদ পড়লে স্বাভাবিক ভাবেই ত্বকের শুষ্ক হওয়ার আশঙ্কা থাকে না।
৩) চোখের তলার কালচে দাগ কমে
কফিতে ক্যাফিন থাকে। তাই কফি খেলে অনিদ্রাজনিত সমস্যা বেড়ে যায়। ঘুম কম হলে চোখের তলায় কালি পড়া স্বাভাবিক। কিন্তু কফি খাওয়ার পরিমাণে কমালে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
৪) ব্রণর সমস্যা হয় না
অনেকেই জানিয়েছেন, কফি খাওয়া কমালে মুখে ব্রণের সমস্যা কমে। আসলে কফিতে থাকা ক্যাফিন ব্রণ সৃষ্টিকারী হরমোনগুলিকে উদ্দীপিত করে। বেশ কিছু দিন কফি না খেলে হরমোনে এই ধরনের সমস্যা প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়।
৫) সেবাম উৎপাদনের পরিমাণ কমে
কফি খাওয়ার অভ্যাসে লাগাম টানতে পারলে সেবাম উৎপাদনের পরিমাণও কমে। বিশেষ করে তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে সেবাম উৎপাদনের সমস্যা বেশি হয়।