— প্রতীকী চিত্র।
বাড়িতে সুতির নরম শাড়ি পরতে ভালবাসেন অনেকেই। কিন্তু বাইরে বেরোতে গেলে মাড় দেওয়া, পাটভাঙা শাড়ি না হলে চলে না। দামি, নতুন শাড়ি বেশ কয়েক বার পরে নিয়ে অনেকেই লন্ড্রিতে পাঠিয়ে দেন কাচতে। কিন্তু তুলনায় কমদামি রোজের ব্যবহারের শাড়িগুলি তো নিয়মিত বাইরে কাচতে দেওয়া হয় না। সে ক্ষেত্রে মা, ঠাকুমাদের শাড়িতে দেওয়ার সবচেয়ে পছন্দের, সহজলভ্য মাড় হল ভাতের ফ্যান। তবে ভাতের ফ্যান শাড়িতে দিলে, শুকোনোর পর অনেক সময়েই বিচ্ছিরি গন্ধ বেরোয়। তাই এই উপাদান ব্যবহার করতে চান না অনেকেই। ভাতের ফ্যান ছাড়া মাড় হিসেবে আর কী কী ব্যবহার করা যায়?
১) আঠা
৫০০ মিলিলিটার জলে ১ টেবিল চামচ আঠা ভাল করে গুলে নিন। কোনও ভাবেই যেন আঠার অবশিষ্ট অংশ জলে না ভাসে। তার পর যে শাড়িতে মাড় দেবেন, সেটি ওই মিশ্রণে ডুবিয়ে রাখুন। মিনিট দুয়েক পর নিঙড়ে রোদে শুকোতে দিন।
২) আলুসেদ্ধ করা জল
আলুর খোসা ছাড়িয়ে ভাল করে ধুয়ে নিন। তার পর একটি পাত্রে পরিষ্কার জল দিয়ে আলু সেদ্ধ হতে দিন। আলু পুরো সেদ্ধ হয়ে এলে সাবধানে জল থেকে আলুগুলি তুলে অন্যত্র সরিয়ে রাখুন। আলু সেদ্ধ করা জল ঠান্ডা হতে দিন। তার পর মাড় হিসেবে ব্যবহার করুন। মাড় দেওয়ার পর ছায়ায় শাড়ি শুকোতে দেওয়া যাবে না। তা হলে কিন্তু মাড় ধরবে না।
৩) ময়দা
গরম জলে ময়দা ভাল করে ফুটিয়ে ঘন একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। শাড়িতে কতটা মাড় চান, সেই অনুযায়ী মিশ্রণ ঘন করবেন। ঠান্ডা হলে মাড় হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। তবে মাড় দেওয়ার পর শাড়ি কিন্তু রোদে শুকোতে দিতে হবে।