আপনার কি বড্ড বেশি ঘাম হয়? ছবি: সংগৃহীত।
আপনার কি বড্ড বেশি ঘাম হয়? এ মরসুমে কখনও বেজায় গরম, কখনও আবার ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি। ভ্যাপসা আবহাওয়া মানেই আরও বেশি ঘামের সমস্যা। আর বেশি ঘাম মানেই ত্বকের সংক্রমণের ঝুঁকিও বাড়ে। ঘাম হওয়া ভাল, তবে অতিরিক্ত ঘাম, ঘামের দুর্গন্ধ কারও কাছেই কাম্য নয়। ভ্যাপসা আবহাওয়ায় কী ভাবে ঘাম নিয়ন্ত্রণ করবেন, জেনে নিন।
ভ্যাপসা আবহাওয়া মানেই আরও বেশি ঘামের সমস্যা। ছবি: সংগৃহীত।
১) ঘামের সমস্যা মেটাতে কী খাচ্ছেন, সেটা খেয়াল রাখাও প্রয়োজন। অনেক ধরনের খাবার হজম হতে দেরি হয় এবং শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাই অতিরিক্ত ঝাল, তেল-মশলাদার খাবার ছেড়ে রোজের হালকা খাবার খাওয়াই ভাল। ঘামের দুর্গন্ধ অনেক সময় আমাদের খাবার থেকেই হয়। ক্যাফিনও হাত-পা ঘামিয়ে দেয়। তাই অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা থেকে মুক্তি চাইলে বেশি কফি খাবেন না।
২) কেবল গরমেই নয়, বর্ষাতেও হালকা সুতির পোশাকের বিকল্প হয় না। অফিস হোক কিংবা বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে সিনেমা দেখা— সুতি, লিনেন, মলমলের মতো হালকা কাপড়ের পোশাক পরুন যাতে শরীরের সহজেই হাওয়া-বাতাস খেলতে পারে এবং ঘাম কম হয়। গায়ের সঙ্গে আঁটসাঁট পোশাক একদম চলবে না। অন্তর্বাসের ক্ষেত্রেও সুতিকেই বেছে নিন, সিন্থেটিক কাপড়ের অন্তর্বাস না হয় শীতের জন্যই তোলা থাক।
৩) শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা শরীর চাঙ্গা রাখতে জলের সঙ্গে কোনও রকম আপস করা চলবে না। ঘাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সারা দিনে বার বার ঠান্ডা জলে চুমুক দিতে পারেন। ঠান্ডা জল খেলে শরীরের তাপমাত্রা কমে, ফলে ঘামের প্রবণতাও কমে।
৪) যাঁরা অতিরিক্ত ধূমপান ও মদ্যপান করেন, তাঁদের ঘাম হওয়ার প্রবণতা বেশি। তাই ঘামের সমস্যা কমাতে ধূমপান ও মদ্যপানে রাশ টানতে হবে।
৫) ওজন বেশি হলেও বেশি ঘাম হয়। তাই ঘাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওজনও বাগে আনা জরুরি।