Weird but True

যোগ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ‘গণহত্যা’র ফোন পেয়ে ছুটে এল পুলিশ! কিন্তু শেষরক্ষা হল কি?

যে কোনও শরীরচর্চার ক্ষেত্রেই একেবারে শেষে শবাসনের ভঙ্গিতে শুয়ে থাকতে হয়। তেমন ভাবেই শুয়েছিলেন সকলে। যা দেখে খটকা লাগে পথচারীদের মনে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

ব্রিটেন শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১২:১৭
Share:

— প্রতীকী চিত্র।

প্রত্যেক দিনের মতোই পোষ্যদের নিয়ে প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়েছিলেন ব্রিটেনের ইংলিশ ভিলেজ এবং সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা। পথের উপরেই আছে একটি যোগ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। সেখানে নিজের যোগ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ‘মেডিটেশন অ্যান্ড রিল্যাক্সেশন’-এর সেশন নিচ্ছিলেন এক প্রশিক্ষক। রাস্তা থেকে যোগাসনের সেই ভঙ্গি দেখেই আতঙ্কে পুলিশে খবর দেন তাঁরা। গোটা ঘটনাই উঠে আসে সমাজমাধ্যমে পাতায়। মুহূর্তের মধ্যে যা ছড়িয়ে পড়ে দিকে দিকে। কিন্তু কী এমন ঘটেছিল সেখানে?

Advertisement

ব্রিটেনের ইংলিশ ভিলেজের বাসিন্দা মিলি ল’জ়, পেশায় যোগ প্রশিক্ষক। প্রতি দিনের মতোই সকালবেলা বেশ কয়েক জন সদস্যকে নিয়ে মেডিটেশন অ্যান্ড রিল্যাক্সেশনের প্রশিক্ষণ দিচ্ছিলেন তিনি। যে কোনও শরীরচর্চার ক্ষেত্রেই একেবারে শেষে শবাসনের ভঙ্গিতে শুয়ে থাকতে হয়। তেমন ভাবেই শুয়েছিলেন সকলে। তাঁদের এমন ভাবে শিথিল হয়ে শুয়ে থাকতে দেখেই পথচারীদের মনে খটকা লাগে। সঙ্গে থাকা পোষ্য কুকুরেরাও চিৎকার করতে থাকে। ‘বিপদে’র আঁচ পেয়েই তাঁরা সোজা স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে জানান সে কথা। যোগ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ‘গণহত্যা’র খবর পেয়ে ছুটে আসে পুলিশ। মিলি এক সাক্ষাৎকারে জানান, খবর পাওয়ামাত্রই দলে দলে পুলিশ এসে আমার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ঘিরে ফেলে। কাউকে নড়াচড়া করতে বারণ করা হয়। শেষে ঘরের ভিতর এসে তাঁরা দেখেন সকলেই জীবিত। এমন ভঙ্গিতে শুয়ে থাকা যোগাসনের একটি অঙ্গ। যদিও পথচারীদের উদ্দেশ্যকে কোনও ভাবেই ছোট করে দেখতে চাননি তিনি। অকারণে পুলিশি হেনস্থার জন্য মিলির কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন ওই পথচারীরা ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement