নখ ভেঙে যাওয়ার সমস্যা এড়াতে কী করবেন? ছবি: ফ্রিপিক।
সাজগোজ যতই নিখুঁত হোক, হাত-নখ সুন্দর না হলে দেখতে ভাল লাগে না। অনেকের নখ খাওয়ার অভ্যাস থাকে, কারও আবার সামান্য আঘাতে নখ ভেঙে যায়। ভাঙা নখ দেখতে মোটেও ভাল লাগে না। তার চেয়ে বরং একটু যত্নে রাখুন নখ। তা হলে ঘন ঘন পার্লারে ছুটতে হবে না। আবার নেল আর্টের জন্য কৃত্রিম নখ বসাতে গিয়ে সংক্রমণের ঝুঁকিও এড়ানো যাবে।
পুষ্টি
ত্বক এবং চুল ভাল রাখতে যেমন পুষ্টিকর খাবার খাওয়া জরুরি, ঠিক তেমনই নখের জন্যেও দরকার বায়োটিন ও প্রোটিন। রাঙা আলু, বিভিন্ন রকম বাদাম, ডিম খেলে বায়োটিনের অভাব দূর হবে। নখের যথাযথ বাড়বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় কেরাটিন নামে প্রোটিন। মাছ, মাংসে এই ধরনের প্রোটিন থাকে। প্রতি দিনের খাদ্যতালিকায় যথাযথ প্রোটিন রাখা দরকার। আয়রনের অভাব হলেও নখ ভঙ্গুর হয়ে যেতে পারে। থোর, মোচা-সহ বিভিন্ন সবুজ সব্জিতে আয়রন থাকে। নখ ভাল রাখতে পাতে রাখুন ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার। মাছ, তিসির বীজ, তিল, আখরোট, কাঠবাদামে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড মেলে। জরুরি পর্যাপ্ত জল খাওয়া।
নখের পরিচর্যা
১. নখ লম্বা হলেই যদি ভেঙে যায়, তা হলে আগে থেকেই নির্দিষ্ট আকারে কেটে নিন।
২. কাজ করতে গিয়ে ভেঙে যাতে না যায় বা রান্না বা মাছ ধোয়ার সময় হলুদ ও মশলা যাতে লেগে না যায়, সে জন্য গ্লাভস ব্যবহার করতে পারেন।
৩. বেশি ক্ষণ জল ঘাঁটলে নখ নরম হয়ে যায়। এতে নখ ভেঙে যাওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়।
৪. নখের জেল্লা বজায় রাখতে ‘কিউটিক্ল অয়েল’ যেমন আমন্ড তেল, জবা তেল, ভিটামিন ই মেশানো তেল নখে মাসাজ করতে পারেন।
৫. নিয়মিত হাত ও নখে ময়শ্চারাইজ়ার লাগানোও জরুরি।
৬. দীর্ঘ দিন ধরে বার বার নেল পলিশ ব্যবহারের ফলে নখের ক্ষতি হয়। তাই যথা সম্ভব তা এড়িয়ে যাওয়াই ভাল।