চটজলদি গোঁফ-দাড়ির ঘনত্ব বৃদ্ধি করবেন কী করে? ছবি: সংগৃহীত।
সাজসজ্জায় কেবল মেয়েরা নয়, ছেলেরাও যথেষ্ট আগ্রহী। সালোঁগুলিতে ছেলেদের ভিড় দেখলেই তা মালুম হয়। নির্দিষ্ট দিন অন্তর অন্তর তাঁরাও তাঁদের সাজসজ্জায় বদল আনতে চান। এই মুহূর্তে একমুখ দাড়ি ছেলেদের ফ্যাশনের অন্যতম হাতিয়ার। বিরাট কোহলি থেকে রণবীর সিংহ— সকলেই এখন সেই ট্রেন্ডে গা ভাসিয়েছেন। যাঁরা নিজের লুক নিয়ে মাঝেমধ্যেই পরীক্ষানিরীক্ষা চালান, তাঁরা অনেকেই দাড়ি রাখার বিষয়ে বেশ শৌখিন। কখনও ভ্যান ডাইক, কখনও বা রয়্যাল আবার কখনও সার্কল বিয়ার্ডে সেজে ওঠেন তাঁরা। এ ছাড়াও রয়েছে দাড়ির আরও রকমফের। একমুখ ঘন দাড়ি চেহারা যেমন বদলে দেয়, তেমন ব্যক্তিত্বেও আনে আলাদা ছাপ।
তবে চাইলেই তো আর হল না! গোঁফ-দাড়ি গজানোর স্বাভাবিক গতি অনেকের ক্ষেত্রেই সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। সমাধান হিসাবে বাজারচলতি বেশ কিছু তেল বা ক্রিম আছে, যাতে দাড়ি-গোঁফের ঘনত্ব বাড়ে। কিন্তু সে সব সকলের ত্বকের উপযোগী না-ও হতে পারে। তাই অনেকেই সেগুলি ব্যবহার করার আগে দশ বার ভাবেন।
তা বলে কি গোঁফ-দাড়ির শখ মেটানো যাবে না? এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই। ঘরোয়া বেশ কিছু উপায় অবলম্বন করলে আপনিও পেতে পারেন ঘন গোঁফ-দাড়ি। কোন ঘরোয়া টোটকায় বাড়বে দাড়ি-গোঁফের ঘনত্ব?
১) ইউক্যালিপটাস তেল এ ক্ষেত্রে দারুণ উপকারী। প্রতি দিন এই তেল মাখলে গোঁফ-দাড়ি ঘন হয়।
২) ঘন দাড়ি পাওয়ার আশায় অনেকেই বার বার দাড়ি কাটেন। এমনটা করবেন না, বরং গোঁফ-দাড়ির বৃদ্ধি ও ঘনত্বের জন্য অন্তত এক থেকে দেড় মাস অন্তর ছেঁটে নিন। তবেই পাবেন মনের মতো চেহারা।
চুলের মতোই গোঁফ-দাড়ি গজাতে সাহায্য করে পেঁয়াজের রস। ছবি: সংগৃহীত।
৩) চুলের মতোই গোঁফ-দাড়ি গজাতে সাহায্য করে পেঁয়াজের রস। এতে থাকা সালফার গোঁফ-দাড়ির ঘনত্ব বাড়াতে পারে। সপ্তাহে অন্তত তিন দিন গোঁফ-দাড়িতে লাগান পেঁয়াজের রস।
৪) ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ও সি গোঁফ-দাড়ি বৃদ্ধিতে বিশেষ সাহায্য করে। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ক্যাপসুল খেতে পারেন। খাদ্যতালিকাতেও যোগ করুন ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার।
৫) শুকনো হাত গালে মিনিট পাঁচেক ধরে মালিশ করুন। এতে মুখে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে ও গোঁফ-দাড়ি ঘন হয়ে গজাতে সাহায্য করবে।