নাকের দু’পাশে চশমার দাগ উঠবে কী ভাবে ছবি: ফ্রিপিক।
মুখে দাগছোপ মোটেও ভাল লাগে না। বিশেষ করে চশমার দাগ! যাঁরা দীর্ঘ দিন ধরে চশমা পরছেন, তাঁরা এই সমস্যার সঙ্গে হাড়ে হাড়ে পরিচিত। একটানা চশমা পরতে পরতে নাকের দু'পাশে আর উপরে পুরু দাগ পড়ে যায়। আর গরমের সময় তো সমস্যা আরও বেশি। ঘাম জমে নাকের দু’পাশে র্যাশ, চুলকানিও হয়। এই দাগ মেকআপেও ঢাকা যায় না। এক সময় দেখা যায়, নাকের দু’পাশে পাকাপাকি ভাবে গাঢ় দাগ বসে গিয়েছে।
চশমা পরেন বলেই যে নাকের পাশে দাগও পুষে রাখতে হবে, তার কোনও মানে নেই। আর দাগ তুলতে বিশাল কিছু করারও প্রয়োজন নেই। খুবই সাধারণ ঘরোয়া উপকরণ দিয়েই ক্রমশ হালকা করে ফেলতে পারবেন চশমার দাগ।
শসার রস শসার রস যে ত্বকের জন্য খুবই ভাল, তা নতুন করে বলার দরকার পড়ে না। এর পর থেকে শসা খাওয়ার সময় দু' একটা টুকরো সরিয়ে রাখবেন। চশমা এঁটে বসে কালো দাগ হয়েছে যেখানে, সেখানে শসার রস চিপে নিয়ে লাগান। অথবা শসার টুকরো দুটো দাগের উপর ঘষুন। ফল পাবেন তাড়াতাড়ি। তবে নিয়মিত করতে হবে।
অ্যালো ভেরা জেল ত্বকের যে কোনও সমস্যার সমাধান করতে পারে অ্যালো ভেরা জেল। চশমার দাগ তুলতেও এর জুড়ি মেলা ভার। চশমা এঁটে গিয়ে শুধু যে দাগ পড়ে, তা-ই নয়। সেই জায়গাটিতে জ্বালাভাবও থাকে। অ্যালো ভেরা জেল দাগ তো তোলেই, ত্বকের জ্বালাভাবও দূরকরে। অ্যালো ভেরার পাতা কেটে ভিতরের জেল বের করে নিয়ে দাগের উপর লাগিয়ে সারা রাত রেখে দিন। সকালে উঠে ঠান্ডা জলে ধুয়ে নেবেন। টানা করতে পারলেই দাগ উঠে যাবে।
লেবুর রস পাতিলেবুর রস ত্বকের মৃত কোষ তুলে দিতে পারে। তুলোয় করে পাতিলেবুর রস নিয়ে চশমার দাগের উপর ঘষুন। মিনিট দশেক রেখে ধুয়ে ফেলবেন। প্রতি দিন স্নানের আগে এটা করতে পারেন। ইচ্ছে করলে পাতিলেবুর রসের মধ্যে অল্প মধু মেশাতে পারেন, তাতে ত্বক আর্দ্রও থাকবে।
কমলালেবুর খোসা শীতের কমলালেবুর খোসা শুকিয়ে রেখে দেন অনেকে। সেই শুকনো খোসা শিলে বা হামানদিস্তায় মিহি করে গুঁড়িয়ে নিন। গ্রাইন্ডারও ব্যবহার করতে পারেন। আধ চা চামচ এই গুঁড়ো নিয়ে তাতে অল্প দুধ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে দাগের উপর লাগিয়ে রাখুন। আধ ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলবেন।
আলুর রস ত্বকের কালচে দাগছোপ তুলে দিতে পারে আলুর রস। ত্বকের প্রাকৃতিক স্ক্রাবার হিসেবে আলুর রস ব্যবহার করা হয়। রোদে পোড়া দাগ তুলতেও এটি সক্ষম। রোজ নিয়ম করে আলুর রস নাকের দু’পাশে চশমার দাগের উপর ঘষলে দ্রুত ফল পাবেন। ত্বকের জেল্লাও ফিরবে অল্প দিনেই।