ছবি: সংগৃহীত।
আলমারি ভর্তি কাতান, কাঞ্জিভরম কিংবা মহীশূর সিল্ক। এই ধরনের শাড়ি সাধারণত রোজ পরা হয় না। তেমন কোনও অনুষ্ঠান হলে কালেভদ্রে এক-দু’বার পরতেই হয়। তবে এক বার পরা হলেও সেই শাড়ি আলমারিতে তুলে রাখেন না অনেকেই। একেবারে লন্ড্রিতে কেচে তার পর যথাস্থানে রেখে দেন। তবে অভিজ্ঞরা বলছেন, শুধু এটুকুতেই ক্ষান্ত হলে চলবে না। পুরনো সিল্ক বা হালফ্যাশনের দামি শাড়িগুলি দীর্ঘ দিন ভাল রাখতে হলে আরও কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে।
সিল্কের শাড়ি ভাল রাখতে কী কী মেনে চলবেন?
১) দামি শাড়ি সাধারণ ভাবে ভাঁজ করে আলমারিতে না রেখে কাপড়ের ব্যাগে রাখতে পারেন। শাড়ি রাখার জন্য অনলাইনে পাতলা সুতির কাপড়ের ব্যাগ কিনতে পাওয়া যায়। অনেকেই পলিথিনের ব্যাগের মধ্যে কাপড় রাখেন। তবে শাড়িতে যদি জরি বা চুমকির কাজ করা থাকে তা হলে ময়েশ্চার ধরে যেতে পারে। বর্ষাকালে এই ধরনের সমস্যা বেশি হয়।
২) ভারী শাড়ি দীর্ঘ দিন একই ভাবে ভাঁজ করে রাখলেও নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তার চেয়ে বরং সসেজের মতো ‘রোল’ করে রাখলে তা ভাল থাকবে।
৩) ভাদ্র মাসে শাড়ি, জামাকাপড় রোদে দেওয়ার চল বহু পুরনো। কিন্তু সূর্যের অতিবেগনি রশ্মির দাপটে শাড়ির রং যে ফিকে হয়ে যেতে পারে তা হয়তো অনেকেই জানেন না। তবে আলমারিতে রাখা পুরনো শাড়ি ঘরের মধ্যেই খোলা হাওয়ায় ছড়িয়ে রেখে দিতে পারেন।
৪) ত্বকে সরাসরি সুগন্ধি স্প্রে করলে চামড়ার ক্ষতি হতে পারে। তাই শাড়ির উপরেই পারফিউম স্প্রে করেন। এই অভ্যাসেও কিন্তু শাড়ি নষ্ট হতে পারে। সুগন্ধির মধ্যে থাকা রাসায়নিকও শাড়ির রং ফিকে করে দিতে পারে। সেখান থেকে শাড়ি পিঁজেও যেতে পারে।
৫) দামি শাড়ি আলমারি ভর্তি করে রেখে দিলেই হবে না। মাঝেমধ্যে বার করে তার ভাঁজ বদলে দিতে হবে। দেখতে হবে আলমারির কোথাও পোকামাকড় বাসা বাঁধছে কি না। শাড়ির ভাঁজে সরাসরি ন্যাপথলিন বা কীটনাশক বা কোনও রাসায়নিকও দেওয়া যাবে না।