ছবি: সংগৃহীত।
ত্বকের যত্নে কখনও চিনা, কখনও জাপানি, আবার কখনও কোরিয়ান প্রসাধনী জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। তাঁদের রূপরুটিন অনুসরণ করেন অনেকেই। শুধু ক্রিম, টোনার বা ফেসপ্যাক বা শিটমাস্কই নয়, চিনারা জোর দেন ত্বক মাসাজের উপরেও। মাসে এক-দু’বার ফেশিয়াল করার সময়ে পেশাদার সালোঁ কর্মীরা মুখে যত্ন করে মাসাজ করে দেন ঠিকই, কিন্তু তার প্রভাব বেশি দিন থাকে না। তাই চিনারা বাড়িতেই নিয়মিত গোয়া সা দিয়ে মুখে মাসাজ করে থাকেন।
পাথরের টুকরো মুখে ঘষলে আদৌ কোনও উপকার হয়?
চিনা ভাষায় ‘গোয়া সা’ শব্দবন্ধের অর্থ হল ‘স্ক্র্যাপিং’, অর্থাৎ চেঁছে তোলা। আকারে হাতের তালুর চেয়েও ছোট, পাতলা, বিশেষ ধরনের একটি পাথর হল এই গোয়া সা। যা নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়। ত্বকের টানটান ভাব বজায় থাকে। চোখের তলায় বা মুখের অন্যান্য অংশের ফোলা ভাব দূর করতে সাহায্য করে এই পাথরটি। তা ছাড়া ‘মাসকুলোস্কেলেটাল ডিজ়অর্ডার’ সংক্রান্ত রোগ নিরাময় করতে অনেক সময় গোয়া সা ব্যবহার করা হয়।
নিয়মিত গোয়া সা ব্যবহার করলে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে কি?
গোয়া সা ব্যবহারের নানা সুফল রয়েছে। তবে তা ব্যবহার করার আগে অবশ্যই মুখের বিভিন্ন প্রেশার পয়েন্ট সম্পর্কে ধারণা থাকা প্রয়োজন। কোথায় কতটা চাপ দিতে হবে, তা বুঝতে না পারলে চুলের থেকেও সরু, সূক্ষ্ম রক্তজালিকাগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। মুখের চামড়ার উপরের স্তরে রক্ত জমাট বাঁধার মতো লক্ষণ ফুটে উঠতে দেখা যায়। যদিও তা মারাত্মক ক্ষতিকর কিছু নয়। সপ্তাহখানেকের মধ্যে এমনিই সেরে যায়। ক্ষতস্থানে বরফ ঘষলেও উপকার মেলে। রাতে ঘুমোনোর আগে মুখে গোয়া সা ঘষলে উপকার মিলবে বেশি।