ছবি- সংগৃহীত
ওজন বাড়লে শরীরে যেমন মেদ জমে, তেমনই থুতনির নীচেও চর্বি জমতে থাকে। যা সত্যিই অস্বস্তিকর হয়ে দাঁড়ায়। কেউ চান ভরাট মুখ। আবার কারও পছন্দ তীক্ষ্ণ, ধারালো থুতনি। মেকআপের সময় প্রসাধনী দিয়ে ত্বকের দাগছোপ ঢাকা গেলেও, মুখের অতিরিক্ত চর্বি কিন্তু ঢাকা যায় না। এ ছাড়া দৈনন্দিন জীবনে নানা বদভ্যাসের কারণেও মুখে মেদ জমতে পারে। বয়স কম হলেও অনেক বেশি বয়স্ক দেখাতে পারে এই কারণে। মুখের মেদ ঝরিয়ে ফেলা রাতারাতি সম্ভব নয়। তবে জীবনযাপনে কিছু পরিবর্তন আনলে খুব সহজেই থুতনির তলার মেদ ঝরিয়ে ফেলা সম্ভব।
কোন কোন পরিবর্তনে ঝরবে থুতনির মেদ?
১) মুখ ঝুঁকিয়ে বসা বন্ধ করতে হবে
পড়া, লেখা বা কোনও কাজ করতে গেলেই আমাদের মুখ ঝুঁকিয়ে বা হুমড়ি খেয়ে পড়ার প্রবণতা দেখা যায়। এই অভ্যাস থেকে একেবারেই বিরত থাকতে হবে। সঠিক ভঙ্গিতে বসার অভ্যাস করতে না পারলে থুতনির তলায় মেদ জমতে পারে।
২) মুখের ব্যায়াম করতে হবে
মুখের ব্যায়াম করতে অতিরিক্ত সময় লাগে না। কাজ করতে করতেই বিভিন্ন ভঙ্গিতে মুখের পেশির ব্যায়াম করা যায়। কখনও মুখ ফুলিয়ে, আবার কখনও মুখ উঁচু করে, ঠোঁট দুটিকে মাছের খাবি খাওয়ার মতো করে, আবার কখনও জিভ মুখের ভিতরে ঢুকিয়ে—নিয়মিত অভ্যাস করাই যায়।
৩) মাথা উঁচু করে শুতে হবে
অনেকেই বালিশে মাথা দিয়ে ঘুমোতে পছন্দ করেন না। গোটা দেহের সঙ্গে মাথা যদি একেবারে সমান্তরাল ভাবে থাকে, সে ক্ষেত্রে কিন্তু থুতনির তলায় মেদ জমতে পারে।
৪) পর্যাপ্ত জল খেতে হবে
পেটের রোগ থেকে মুখের মেদ— সব সমস্যার সমাধান করতে পারে জল। পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেলে শরীরে দূষিত পদার্থ জমতে পারে না। তাই মুখের ফোলা ভাব অনেকটাই কমে যায়।
৫) নোনতা খাবার খাওয়া যাবে না
নোনতা খাবারে থাকা অতিরিক্ত সোডিয়াম শরীরে অতিরিক্ত তরল সৃষ্টি করে। এই সোডিয়াম অতিরিক্ত মাত্রায় জমতে থাকলে শরীরে অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ক্ষতি তো করেই। পাশাপাশি মুখও অনেক বেশি ভারী দেখায়।