রাজস্থানের সূর্যগড় প্রাসাদে অগ্নিকে সাক্ষী রেখে, বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন সিদ্ধার্থ-কিয়ারা। ছবি: সংগৃহীত।
বলিউডে বিয়ে মানেই এখন আলাদা করে আংটির খোঁজ পড়ে। কোন নায়িকার বিয়ের আংটিতে কত বড় হিরে, কার আংটি বাকিদের থেকে একেবারে অন্য রকম, তা নিয়েও চলে আলোচনা। কিয়ারা আডবাণী আর সিদ্ধার্থ মলহোত্রও বাদ পড়লেন না সেই চর্চা থেকে। কিন্তু তাঁদের আংটি নতুন কোনও গল্প বলল কি?
সিদ্ধার্থ এবং কিয়ারা বিয়ের ছবি সামনে আসতেই সকলের চোখ গেল আঙুলের দিকে। দীপিকা-আলিয়াদের থেকে এ ক্ষেত্রেও আলাদা বলিপাড়ার এই দম্পতি। নতুন নকশা নয়, ঐতিহ্যেই নজর দিয়েছেন তাঁরা। সিদ্ধার্থের বাঁ হাতের তর্জনীতে কুন্দনের একটি আংটি থাকলেও ডান হাতের অনামিকায় দেখা গেল একেবারে ছিমছাম দেখতে সোনার একটি ‘ওয়েডিং ব্যান্ড’। অন্য দিকে, কিয়ারার হাতে শোভা পেল ডিম্বাকার একটি বড়সড় হিরে! যেমন রাজকীয় ঢঙে সাজানো হয়েছে বিয়ের আসর, খানিকটা সে মেজাজই যেন দেখা গেল নতুন বৌয়ের বিয়ের আংটিতেও। অতিরিক্ত কারুকাজ নয়। অথচ নজরকাড়ার মতো সে আংটির নকশা।
নজর কেড়েছে কিয়ারার সাজে হিরে আর পান্নার যুগলবন্দি। গলার রাজকীয় হার, কানের দুল সবেতেই ছিল হিরে আর পান্নার কারুকাজ। নায়িকাদের মাথাপট্টি পরার যে চল ইদানীং দেখা যাচ্ছে, তা একেবারে ভেঙে ‘মাঙ্গটিকা’র মতোই আকারে একটু বড়, কপাল জুড়ে ছিল ছিল হিরের টিকলি। হাতে পোশাকের সঙ্গে মানানসই গোলাপি চুড়ি। সামনে হিরে এবং পান্নার বালা। সেই চুড়ির সঙ্গে হাতের মধ্যমার আংটি পর্যন্ত টানা হিরের হাতফুল।
হাতের কলিরে জোড়াতে ছিল নতুনত্বের ছোঁয়া। লাল-সাদার বদলে ছক ভেঙে সোনালি এবং রুপোলি রঙের চাঁদ আর তারার সমাহার তাতে। সঙ্গে ছোট ছোট প্রজাপতি উড়ছে চারদিকে। তাতে রয়েছে দম্পতির নামের আদ্যক্ষর, দু’জনের প্রিয় পর্যটনস্থল প্যারিসের আইফেল টাওয়ার এবং সিদ্ধার্থের সবচেয়ে প্রিয়, তাঁর মৃত পোষ্য ‘অস্কার’-এর মুখের ছাঁচে বানানো কলিরেটি শোভা পাচ্ছিল কিয়ারার হাতে। সব মিলিয়ে দু’জনের প্রেমজীবনের সাক্ষী নানা ঘটনার ছোট্ট সংস্করণ তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন কিয়ারা। এই কলিরে নকশা করেছেন মৃণালিনী চন্দ্র নামে এক শিল্পী। বলিপাড়ার বহু নতুন বৌয়ের হাতের এই গয়নাই তাঁর তৈরি। কিয়ারার আগে আলিয়া ভট্ট, ক্যাটরিনা কইফ, আথিয়া শেট্টির হাতেও শোভা পেয়েছে তাঁর নকশা করা কলিরে।
অনুষ্কা, দীপিকা বা আলিয়ার মতো অনুরাগীদের কৌতূহল ছিল কিয়ারার মঙ্গলসূত্র নিয়েও। সেখানেও কিয়ারা ততোধিক ছিমছাম। নিজের পছন্দ মতোই বেছে নিয়েছিলেন সোনার চেন।
লোকচক্ষুর অন্তরালে, নামমাত্র নিমন্ত্রিতদের নিয়ে রাজস্থানের সূর্যগড় প্রাসাদে অগ্নিকে সাক্ষী রেখে, বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন এই সিদ্ধার্থ-কিয়ারা। ৭ ফেব্রুয়ারি, রাত ১০টা বাজতেই নিজের ইনস্টাগ্রামে তাঁদের বিয়ের বাছাই করা কিছু ছবি পোস্ট করেছিলেন কিয়ারা নিজেই। পোস্ট হওয়া মাত্রই সমাজমাধ্যম জুড়ে হিরের মতোই ঝলসে উঠেছিল চুম্বনরত নবদম্পতির সেই ছবি।