সিরাম না কি ময়েশ্চারাইজ়ার, কোনটি মাখবেন? ছবি: সংগৃহীত।
গরমকালে ত্বকের এক রকম সমস্যা। আবার, শীতে তার ঝক্কি অন্য রকম। তৈলাক্ত ত্বক, ব্রণের সমস্যা তো রয়েছেই, সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ঘাম। মুখে কিছু মাখার উপায় নেই। বছরের বেশির ভাগ সময় ময়েশ্চারাইজ়ার মেখে কাটালেও গরমে বা আর্দ্র আবহাওয়ায় তার প্রয়োজন পড়ে না।
ইদানীং রূপচর্চার জগতে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ফেস সিরাম। কিন্তু এত দিনের বিশ্বস্ত ময়েশ্চারাইজ়ার ছেড়ে হঠাৎ উড়ে এসে জুড়ে বসা সিরামকে বিশ্বাস করা কি ঠিক হবে? অভিজ্ঞেরা বলছেন, ত্বকের যত্নে ময়েশ্চারাইজ়ার এবং সিরাম, দুইয়েরই ভূমিকা রয়েছে। ত্বক সিরাম তাড়াতাড়ি শুষে নেয়। কিন্তু, ময়েশ্চারাইজ়ার কাজ শুরু করে অনেক দেরিতে। তাই ময়েশ্চারাইজ়ারের তুলনায় সিরাম বেশি কাজ দেয়। কিন্তু, ত্বকের সামগ্রিক উন্নতি চাইলে রাতে শোয়ার আগে মাইল্ড কোনও ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে টোনার মাখার পর সিরাম ব্যবহার করতে হবে। তার পর ত্বকের ধরন বুঝে ময়েশ্চারাইজ়ার মাখা যেতে পারে।
ময়েশ্চারাইজ়ার এবং সিরাম কি আলাদা?
কাজ মোটামুটি এক রকম হলেও দু’টি প্রসাধনীর উপাদান কিন্তু আলাদা। ময়েশ্চারাইজ়ারের তুলনায় সিরাম অনেকটাই হালকা, ওয়াটার বেস্ড। ময়েশ্চারাইজ়ারে আবার তৈলাক্ত ভাব বেশি। ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখার পাশাপাশি ত্বক দীর্ঘ ক্ষণ নরম রাখতেও সাহায্য করে ময়েশ্চারাইজ়ার। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য যদি সিরাম পছন্দের হয়, তা হলে শুষ্ক ত্বকের জন্য ময়েশ্চারাইজ়ার ভাল।
সিরাম কেন ব্যবহার করবেন?
সিরামের কাজ অনেকটাই ত্বকের সমস্যাকেন্দ্রিক। ত্বকের সূক্ষ্ম ভাঁজ, বলিরেখা, শুষ্কতা, ব্রণ, পিগমেন্টেশন এমনকি, জেল্লা ধরে রাখতে সাহায্য করে সিরাম।
ময়েশ্চারাইজ়ার কেন ব্যবহার করবেন?
অতিরিক্ত শুষ্ক ত্বকে আর্দ্র ভাব বজায় রাখতে সাহায্য করে ময়েশ্চারাইজ়ার। হাত-পায়ের খসখসে জায়গাগুলি পেলব রাখতে সাহায্য করে। তবে ত্বকের কোনও সমস্যার সমাধান করা এই প্রসাধনীর কাজ নয়। উল্টে, তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে ।