লম্বা, ঘন স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুল পেতে অনেকেই প্রাকৃতিক উপাদানে ভরসা রাখেন। তার যুক্তিসঙ্গত কারণও রয়েছে। এক এক ভেষজের এক এক রকম গুণ। তার উপর এতে রাসায়নিকের প্রভাবে চুলের ক্ষতির ভয় থাকে না। কিন্তু সেই ভেষজের মধ্যেই যদি কোনটি বেশি ভাল, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে, কী ভাবে বাছাই করবেন?
অ্যালো ভেরা বা ঘৃতকুমারী বলে পরিচিত এই গাছের পাতার ভিতরে থাকে সাদা শাঁস। যা চুলের পরিচর্যায় বহু দিন ধরেই ব্যবহার হয়ে আসছে। আবার চুলের অকালপক্বতা রোধে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ আমলকির গুণও কিছু কম নয়। অ্যালো ভেরা বা আমলকি, চুলের বাড়-বৃদ্ধিতে দুই ভেষজই বেশ কার্যকর।
অ্যালো ভেরা
এতে থাকে ভিটামিন এ, সি, ই, বি ১২, ফোলিক অ্যাসিড, ও বিটা ক্যারোটিন। যা চুলকে পুষ্টি জোগাতে, চুল ঝরা কমিয়ে তার বাড়-বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। প্রোটিওলাইটিক নামে একটি উৎসেচক মেলে অ্যালো ভেরাতে, যা মাথার তালু থেকে মৃত কোষ দূর করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি, চুলকে আর্দ্র ও নরম করে অ্যালো ভেরা।
আমলকি
ভিটামিন সি-এর অন্যতম উৎস হল আমলকি। প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে ফলটিতে। চুলের অন্যতম উপাদান হল কোলাজেন নামক প্রোটিন। ভিটামিন সি কোলাজেন উৎপাদনে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের প্রভাবে চুল হয়ে ওঠে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল।
অ্যালো ভেরা, না আমলকি?
দুই উপাদানই ভিটামিন, খনিজে ভরপুর। তবে অ্যালো ভেরা ও আমলকির মধ্যে কোনও একটি বেছে নেওয়ার প্রশ্ন উঠলে, নিজেকেই বুঝতে হবে চুলের সমস্যা কী?
শুষ্কতা
যদি চুল অতিরিক্ত শুষ্ক হয়, তা হলে আর্দ্রতা জোগাতে বেছে নেওয়া যেতে পারে অ্যালো ভেরা।
চুলের বৃদ্ধি
চুল ঝরা বেশি হলে, গোড়া মজবুত করতে বেছে নেওয়া যেতে পারে আমলকি। অ্যালো ভেরা যে এ ক্ষেত্রে কাজ করবে না তা নয়, তবে আমলকির প্রয়োগে উপকার বেশি হবে।
মাথার ত্বকের স্বাস্থ্য
মাথার ত্বক বা স্ক্যাল্পের স্বাস্থ্যের সঙ্গেও চুলের বাড়-বৃদ্ধি, ঝরে পড়া নির্ভরশীল। মাথার ত্বকের সুস্বাস্থ্যের জন্য অবশ্য অ্যালো ভেরা ও আমলকি, দুই-ই উপকারী।
সুতরাং চুলের সমস্যা ও নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী যে কোনও উপাদান বেছে নিতে পারেন।
কী ভাবে ব্যবহার করবেন?
অ্যালো ভেরার শাঁস বেটে সরাসরি মাথায় লাগাতে পারেন, আবার নারকেল তেলে মিশিয়েও মাথায় মাখা যায়।
আমলকি থেঁতো করে নারকেল তেলের সঙ্গে গরম করে মাখতে পারেন। আমলকির গুঁড়ো টক দইয়ে মিশিয়েও চুলের প্যাক হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।