রাতে খাওয়ার পর কোন পানীয়ে নিশ্চিন্তে চুমুক দেওয়া যায়? ছবি: সংগৃহীত।
ওজন কমাতে অনেকেই ঘুম থেকে উঠে চুমুক দেন লেবু-মধুর উষ্ণ পানীয়ে। কিন্তু জানেন কি, রাতে খাওয়াদাওয়ার পরেও এমন কিছু পানীয়ে চুমুক দিলে মেদ ঝরতে দ্রুত। তার কারণও আছে। এই পানীয়গুলি শুধু হজমেই সাহায্য করবে না, বিপাকহার বৃদ্ধিতেও সাহায্য করবে। ওজন কমানোর ক্ষেত্রে বিপাকহারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। জেনে নিন, কোন কোন পানীয়ে চুমুক দিলে শরীর-স্বাস্থ্য ভাল থাকবে, বশে আসবে ওজন।
জোয়ান ‘চা’
নামে চা হলেও এতে চা-পাতার ব্যবহার হয় না। জলে জোয়ান ফুটিয়ে তৈরি হয় এই চা। হজমে সহায়ক জোয়ান। এতে থাকা আর্সেনাল পেটফাঁপা, বদহজম কমাতে সাহায্য করে। খাবার আধ ঘণ্টা পর গরম হালকা গরম জোয়ান চা খেলে হজমও ভাল হবে, আবার বিপাকহারও বৃদ্ধি পাবে।
হলুদ ‘চা’
হলুদের মধ্যে রয়েছে কারকিউমিন, যা বিপাকহার বৃদ্ধি করে। হলুদের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট উপাদান শরীরের বাড়তি মেদ ঝরাতে অনুঘটকের কাজ করে। রাতের খাবার খাওয়ার পর গরম জলে এক চিমটে হলুদ মিশিয়ে খেলে শরীরে নানা উপকার হয়। এই পানীয় যকৃৎ থেকে দূষিত পদার্থ বার করতে সাহায্য করে। ওজন কমানোর জন্য শরীর থেকে নিয়মিত দূষিত পদার্থ বার করা প্রয়োজন।
লেবু-আদা ‘চা’
জলে কিছুটা আদা থেঁতো করে দিয়ে, মিনিট পাঁচেক ফুটিয়ে ছেঁকে তার মধ্যে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে দিলেই এই চা তৈরি হয়ে যায়। লেবুর রস মেদ গলাতে সাহায্য করে। আদা হজমে সহায়ক। আদায় থাকা উপাদান বিপাকহার বৃদ্ধির পাশাপাশি খিদে নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক। রাতে খাবার পর এই পানীয়ে চুমুক দিলে বদহজমের সমস্যা যেমন দূর হবে, তেমনই ওজন কমানোর প্রক্রিয়ায় এতে দ্রুত হবে।