Sustainable Jewellery

পরিবেশবান্ধব গয়না কী? তরুণ প্রজন্মের কাছে এই ধরনের গয়নার চাহিদা বাড়ছে কেন?

গয়না বলতে বাঙালি চিরকাল সোনা কিংবা রুপোর কথাই জেনে এসেছে। তবে তরুণ প্রজন্মের কাঁধে ঐতিহ্যের পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষার দায়ও রয়েছে। তাই পরিবেশবান্ধব গয়নার কদর বাড়ছে দিন দিন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ অগস্ট ২০২৪ ১৬:৫৯
Share:

‘সাসটেনেবল’ গয়না কিনবেন কেন? ছবি: সংগৃহীত।

‘সাসটেনেবল’ আক্ষরিক অর্থে টেকসই! ইদানীং ফ্যাশন জগতে এই ধরনের জিনিসের চাহিদা বেড়েছে। পরবর্তী প্রজন্ম এবং পরিবেশের কথা মাথায় রেখে তরুণ প্রজন্ম এই ধরনের পোশাক, জুতো, ব্যাগ এমনকি গয়নাও বানাচ্ছে। সোনা, রুপো, প্ল্যাটিনাম কিংবা বাজারচলতি নকল ‘সোনা’র সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সেই সব গয়নাও বিকোচ্ছে। দেশে তো বটেই, বিদেশের বাজারেও তেমন জিনিসের কদর বাড়ছে দিনে দিনে।

Advertisement

‘সাসটেনেবল’ গয়না আসলে কী?

গয়না বলতে বাঙালি চিরকাল সোনা কিংবা রুপোর কথাই জেনে এসেছে। দামি রত্ন কিংবা প্ল্যাটিনামের ব্যবহার ছিল সীমিত। তবে গ্রামবাংলার শিল্পধারা বজায় রেখে অনেকেই কাপড়ের, সুতোর, পাটের, ধাতুর, কাঠের কিংবা পোড়া মাটির গয়নাও ব্যবহার করেন। এই সব গয়নাও পরিবেশবান্ধব। কিন্তু ‘সাসটেনেবল’ গয়নার ধরন একটু আলাদা। পরিবেশবান্ধব এই ধরনের গয়নার মূল জিনিসপত্র সাধারণত গবেষণাগারে তৈরি হয়। এবং তা থেকে পরিবেশের ক্ষতিও ন্যূনতম।

Advertisement

আগে গয়না কিনতে গেলে সাধারণত নকশা এবং তা কী দিয়ে তৈরি, এই দু’টি বিষয় বেশি ভাবাত ক্রেতাদের। পছন্দ হলে দামদর। কিন্তু এখন এরই সঙ্গে যোগ হয়েছে নতুন আরও একটি বিষয়। গয়নাটি কী ভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে। কিংবা তৈরি করতে যে পাথর বা ধাতু ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলির উৎস সম্পর্কে ক্রেতারা এখন যথেষ্ট সচেতন। অর্থাৎ, গয়না প্রস্তুত করতে গিয়ে পরিবেশ বা প্রাণিজগতের কোনও ক্ষতি হলে তাকে কোনও ভাবেই ‘সাসটেনেবল’ তকমা দেওয়া যাবে না।

এই ধরনের গয়নার চাহিদা বাড়ছে কেন?

খনিতে জন্ম নেওয়া মূল্যবান প্রতিটি পাথরের আকার, আকৃতি, মান এবং ওজন আলাদা হয়। তাই চাহিদা অনুযায়ী একই ওজন বা হুবহু একই রকম দেখতে দু’টি পাথর পাওয়া প্রায় অসম্ভব। তা ছাড়া এই ধরনের পাথর বা ধাতু অতি দুর্লভ। প্রাপ্তির পরিমাণও সীমিত। তাই চাহিদা অনুযায়ী জোগান দেওয়াও অসম্ভব। সীমিত বলেই তার দাম আকাশছোঁয়া। তা ছাড়া যে দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রকৃতির ভান্ডার থেকে এই ধরনের সম্পদ তুলে আনতে হয়, তা একেবারেই পরিবেশবান্ধব নয়।

তুলনায় পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তোলা যায় এমন ধাতু, গবেষণাগারে তৈরি হিরে বা চুনি, পান্না, পোখরাজের মতো দামি পাথর পরিবেশের উপর কোনও রকম খারাপ প্রভাব ফেলে না। এবং তা সহজে নষ্ট হওয়ারও ভয় নেই। বরং ক্রেতাদের চাহিদা এবং পছন্দ অনুযায়ী তা তৈরিও করা দেওয়া যায়। তাই গয়নার চাহিদা দিনে দিনে বাড়বে বলেই আশাবাদী ‘সাসটেনেবল’ গয়না প্রস্তুকতকারী সংস্থাগুলি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement