খাবারে মাইক্রোপ্লাস্টিক রয়েছে কি না বুঝবেন কী করে? ছবি: সংগৃহীত।
রান্নায় দেওয়া নুন, চিনি, শিশুর জন্য বাজার থেকে কেনা দুধ, এমনকি খাবার জলেও মিশে থাকতে পারে প্লাস্টিকের কণা। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন গবেষণায় সে প্রমাণ মিলেছে। দিনের পর দিন শরীরে এই বিষ মিশতে থাকলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে পারে। মারণরোগ ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার পরিসংখ্যান লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। তার নেপথ্যেও রয়েছে ওই ক্ষুদ্র কণা। এ ছাড়া শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশেও বাধা দিতে পারে এই মাইক্রোপ্লাস্টিক।
এত কিছু জানার পর স্বাভাবিক ভাবেই সাধারণ মানুষ আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়তে পারেন। প্লাস্টিক শরীরে মিশলে যে কী বিপদ হতে পারে সে কথা আঁচ করতে পেরেই সাধারণ মানুষকে আরও সচেতন হতে বলছেন চিকিৎসক, বিজ্ঞানীরা। তবে খাবারে মিশে থাকা যে কণা খালি চোখে দেখাই যায় না, তার থেকে সাবধানতা অবলম্বন করবেন কী ভাবে? চিকিৎসকেরা বলছেন, ঘরে বসে সাধারণ কয়েকটি পরীক্ষার মাধ্যমেই তার সন্ধান পাওয়া সম্ভব। জেনে নিন কী ভাবে?
১) ঘনত্ব পরীক্ষা:
প্রথমে একটি কাচের গ্লাসের অর্ধেক পরিমাণ উদ্ভিজ্জ তেল বা মধু নিন।
এ বার তার মধ্যে সামান্য পরিমাণে নুন, চিনি, যে কোনও প্রকারের পানীয় বা জল দিন।
চামচের সাহায্যে ভাল ভাবে মিশিয়ে নিন।
এ বার খেয়াল করুন গ্লাসের মধ্যে থাকা তেল বা মধুর উপর তা ভেসে উঠছে কি না। কোনও কোনও জিনিস আবার দলা পাকিয়ে যেতে পারে।
যদি তেমনটা হয়, তা হলে ধরে নিতে হবে খাবারে মাইক্রোপ্লাস্টিক রয়েছে। আর যদি তা না হয় তা হলে বুঝতে হবে সেই খাবার নিরাপদ।
২) কফি ফিল্টার:
পাত্রের উপর কফির ফিল্টার রেখে তার উপর থেকে তরল ঢালতে থাকুন।
জল, দুধ বা পানীয়ের মধ্যে মিশে থাকা প্লাস্টিকের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কণা, সাধারণত খালি চোখে দেখা যায় না বা ছাঁকনিতেও ধরা পড়ে না। তবে কফির ফিল্টার কাগজ ভেদ করে সেই কণা সহজে বেরোতে পারে না।
৩) ঝাঁকিয়ে দেখা:
নুন বা চিনির মধ্যে কোনও রকম অশুদ্ধি মিশে আছে কি না তা বোঝার জন্য এই পরীক্ষা করে দেখা যেতে পারে।
প্রথমে ছোট, মুখবন্ধ কোনও কৌটোর মধ্যে অল্প নুন বা চিনি ঢেলে নিন। তার পর ভাল করে ঝাঁকাতে থাকুন।
এ বার কৌটোর মুখ খুলে গাঢ় রঙের কোনও প্লেটের মধ্যে ধীরে ধীরে ঢালতে থাকুন।
যদি নুন বা চিনির মধ্যে মাইক্রোপ্লাস্টিক থাকে তা হলে খুব ভাল করে লক্ষ করলে বুঝতে পারবেন, উপরের স্তরে প্লাস্টিকের কণা ভেসে উঠছে। যেগুলি নুন বা চিনির কণার চেয়ে দেখতেও আলাদা।