ছবি: সংগৃহীত।
সুস্থ থাকতে শাকসব্জি খাওয়ার কোনও বিকল্প নেই। বারো মাস ফিট থাকতে রোজ শাকপাতা খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদেরা। তবে বর্ষায় শাকপাতা বেশি খেতে নিষেধ করা হয়। অথচ এই মরসুমেই রোগবালাইয়ের আশঙ্কা বেশি। ফলে এই সময় প্রতিরোধ ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি হওয়া জরুরি। আর রোগবালাইয়ের সঙ্গে লড়াই করার শক্তি লুকিয়ে আছে শাকসব্জিতেই। তবে বর্ষার স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় শাকপাতায় ব্যাক্টেরিয়া, জীবাণু জন্ম নেয় বলেই খেতে বারণ করা হয়। তবে কয়েকটি নিয়ম মেনে চললে সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
১) কেনার সময় দেখে নিন শাক টাটকা কি না। দেখে সতেজ এবং টাটকা মনে হলে তবেই কিনুন। নষ্ট হয়ে গেলে কিংবা শাক হলদে হয়ে গেলে সেগুলি ভুলেও কিনবেন না। দরকার হলে কেনার সময় শাকের পাতা ছিঁড়ে পরখ করে নিন।
২) বাজার থেকে শাকপাতা কিনে আনার পর প্রথম কাজ হবে সেগুলি ভাল করে ধুয়ে নেওয়া। কারণ শাকসব্জির ফলন যাতে ভাল হয় সে জন্য অনেক সময় নানা রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। ঠিক করে না ধুয়ে রান্না করলে পেটখারাপ ছাড়াও আরও অনেক সমস্যা হতে পারে।
৩) খুব ভাল হয় রান্নার আগে যদি শাকসব্জি গরম জলে ভাপিয়ে নেন। শুধু ভাল করে ধুয়ে নেওয়াই যথেষ্ট নয়। শাকপাতায় থাকা ব্যাক্টেরিয়া, জীবাণু দূর করতে এর চেয়ে ভাল পন্থা আর নেই।
৪) সঙ্গে সঙ্গে রান্না না করলে শাকপাতা ধোয়ার পর জল ঝরিয়ে শুকিয়ে নেওয়া জরুরি। ভিজে অবস্থায় রেখে দিলে নতুন করে ব্যাক্টেরিয়া বাসা বাঁধতে পারে। তা না চাইলে শাকসব্জি শুকনো করে রাখুন।
৫) শাকপাতা জীবাণুমুক্ত করার আরও একটি উপায় হল বরফজলে কিছু ক্ষণ ডুবিয়ে রাখুন। মিনিট পাঁচেক বরফজলে রাখলে শাকপাতা সতেজ হয়ে যাবে। শাকপাতার সবুজ রং এবং সতেজ ভাবও অক্ষত থাকবে।