চুল ভাল রাখতে শুধু রকমারি উপাদান মাখলেই চলবে না, খাবারেও জোর দিতে হবে। ছবি: সংগৃহীত।
রুক্ষ, ডগা ফাটা চুলের জন্য যত্ন প্রয়োজন। প্রতি দিনের ধুলোবালি, সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির প্রভাবে ক্ষতি হয় চুলের। সে জন্য নিয়মিত পরিচর্যা দরকার। কিন্তু, শুধু কি এতেই ভাল থাকবে চুল? চুল ঝরা বা রুক্ষ হয়ে পড়ার নানা কারণ থাকে।পর্যাপ্ত পানীয়ের অভাব, পুষ্টিকর খাদ্য বাদ পড়লেই এই ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
চুলের অন্যতম গুরুত্বপূ্র্ণ উপাদান হল কেরাটিন নামে প্রোটিন। ফলে একঢাল সু্ন্দর ঘন কেশ পেতে খাবার পাতে প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট— সব কিছুই খাকা প্রয়োজন। নিয়মিত কোন খাবার খেলে ভাল থাকবে চুল?
বাদাম
রকমারি বাদামে থাকে প্রোটিন, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ও খনিজ। প্রতিটি উপাদানই সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজন। কাঠবাদাম, আখরোটে পাওয়া যায় বায়োটিন, ভিটামিন ই। চুল ভাল রাখতে তা বিশেষ সহায়তা করে। ভিটামিন ই মাথার ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল লাগে। ফ্যাটি অ্যাসিড চুলের পুষ্টি জোগাতে ও প্রদাহ কমাতে কার্যকর।
মাছ ও ডিম
ডিমে প্রোটিন ও বায়োটিন ভরপুর মাত্রায় পাওয়া যায়। চুল ভাল রাখতে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খুব জরুরি। পাশাপাশি, মাছেও ভাল মানের প্রোটিন থাকে। এ ছাড়া পমফ্রেট, কাতলা, ইলিশ মাছগুলিতে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড মেলে। ডিম ও মাছে থাকে ফসফরাস, জ়িঙ্ক, যা চুল ভাল রাখার জন্য জরুরি।
পালং শাক
এতে রয়েছে আয়রন। চুলের ফলিকলে অক্সিজেন সংবহনে আয়রনের প্রয়োজন। এই শাকে পাওয়া যায় ভিটামিন এ এবং সি। ভিটামিন সি ত্বক ও চুলের জন্য বিশেষ উপকারী। এই দুই ভিটামিন মাথার ত্বকে সিবাম উৎপাদনে সহায়তা করে। মাথার ত্বক থেকে নিঃসৃত হয় সিবাম, যা চুলকে আর্দ্র রাখতে ও ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে।
এ ছাড়াও মিষ্টি আলু, আমলকি, বিভিন্ন রকমের ফল, বীজ ইত্যাদি খাদ্যতালিকায় থাকলে চুলেও জেল্লা ফিরবে, ভাল থাকবে ত্বক।