কী ভাবে ক্যাস্টর অয়েল মাখলে ত্বক ভাল থাকবে? ছবি: সংগৃহীত।
চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধিতে বহু দিন ধরেই ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করা হয়। চিটচিটে তেলটির গুণ অনেক। তবে চুলের উপকার মিললেও, প্রাকৃতিক এই তেল কি ত্বকের পক্ষেও ভাল? ক্যাস্টরের বীজ থেকে পাওয়া যায় এই তেল। বলিরেখা দূর করতেও কিন্তু এই তেল উপকারী। ক্যাস্টর অয়েল ত্বককে গভীর ভাবে ময়শ্চারাইজ় করতেও সাহায্য করে।
২০২২ সালের একটি গবেষণা বলছে, এই তেলে রয়েছে ‘রাইসোনোলিয়েক অ্যাসিড’। এটি এক ধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড। যা বলিরেখা দূর করার পাশাপাশি ত্বককে মসৃণ করতেও সাহায্য করে। ত্বকে কোনও রকম সংক্রমণ হলে, তা-ও প্রতিরোধ করতে পারে এই তেল।
১. এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, যা বলিরেখা দূর করতে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে। ত্বকের গভীরে গিয়ে ত্বককে ভিতর থেকে আর্দ্র করে তোলে। চোখ, নাক এবং ঠোঁটের চারপাশের স্পর্শকাতর অংশগুলিতে বলিরেখা পড়ার প্রবণতা বেশি থাকে। তাই পুরো মুখে ক্যাস্টর অয়েল না মাখলেও নির্দিষ্ট এই অঞ্চলগুলিতে মাখা যেতে পারে।
২. এই তেলে রয়েছে অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান। যা ব্রণের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে প্রদাহনাশক উপাদানও। যার ফলে এই তেল ব্যবহারে জ্বালা, পোড়া, ফোলা ভাব কমতে পারে।
৩. ফাটা ঠোঁটের জন্য বিশেষ উপকারি তেলটি। লিপস্টিক ও লিপগ্লসে এই তেলের ব্যবহার রয়েছে। ঠোট ফাঁটার সমস্যায় এই তেলটিও ব্যবহার করতে পারেন, তবে সরাসরি না লাগিয়ে নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করলেই ভাল।
কী ভাবে মুখে ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করবেন?
সরাসরি ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহারে অসুবিধা হল, এটি ভীষণ ঘন ও চিটচিটে। তাই ‘ক্যারিয়ার অয়েল’-এ মিশিয়ে এটিয়ে মুখে লাগাতে পারেন। ক্যারিয়ার অয়েল হিসাবে নারকেল তেল, আমন্ড অয়েল বা অলিভ অয়েলের মধ্যে যে কোনও একটি বেছে নেওয়া যায়। তেল ব্যবহারের আগে ফেশওয়াশ দিয়ে মুখ ভাল করে পরিষ্কার করে নিতে হবে।