ঘরোয়া প্যাকে হাত এবং পা থেকে সহজেই তোলা যাবে ট্যান।
সামনে বিয়েবাড়ি। এদিকে, বেড়াতে গিয়ে শীতের রোদ গায়ে মেখে সমুদ্রসৈকতে ঘোরাঘুরি করতে গিয়ে হাতে, পায়ে ট্যান পড়েছে? মুখে না হয় ফেশিয়াল করলেন, কিন্তু হাত-পা ঝকঝকে হবে কী করে? অফিস সামলে সালোঁয় যাওয়ার সময় নেই। তা হলে বরং ঘরোয়া উপকরণ বেছে নিন। ৩ প্যাকে হাত এবং পায়ের কালো ছোপই উঠবে না, ফিরবে জেল্লাও।
চালের প্যাক: চালের জল ত্বক এবং চুলের জন্য অত্যন্ত ভাল। তবে হাত এবং পায়ের কালচে ছোপ তুলতে চালের জল নয়, ব্যবহার করুন চালের প্যাক। আধ কাপ চাল, কমলালেবুর শুকনো খোসা, শুকনো হলুদ মিক্সিতে ঘুরিয়ে নিন। তার সঙ্গে যোগ করুন হালকা গরম জলে গুলে নেওয়া এক চা-চামচ কফির গুঁড়ো। সমস্ত উপকরণ মিশিয়ে হাত, পা এবং শরীরের যে অংশ থেকে কালচে ছোপ তুলতে চান সেখানে ব্যবহার করতে পারেন। মিশ্রণটি মেখে মিনিট ১৫ রেখে হালকা ঘষে জল দিয়ে ধুয়ে নিন।
বেসনের প্যাক: ত্বকের ময়লা, ট্যান তুলতে বেসনও খুব কার্যকর। ২ টেবিল চামচ বেসনের সঙ্গে ৩ টেবিল চামচ দুধ এবং ১ টেবিল চামচ লেবুর রস, কয়েক ফোঁটা মধু মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি হাতে এবং পায়ে মেখে মিনিট ১৫ অপেক্ষা করুন। তার পর ধুয়ে ফেলুন।
নারকেলের দুধের প্যাক: শীতের মরসুমে হাত এবং পা রুক্ষ হয়ে গিয়েছে? তা হলে বরং নারকেলের দুধ দিয়ে প্যাক বানিয়ে নিন। ২ টেবিল চামচ নারকেলের দুধের সঙ্গে ১ টেবিল চামচ বেসন, কয়েক ফোঁটা মধু এবং সামান্য একটু হলুদ গুঁড়ো দিয়ে মিশিয়ে নিন। তার পর হাত, পায়ে মেখে নিন। মিনিট ১৫-২০ পর জল দিয়ে হালকা মালিশ করে মিশ্রণটি তুলে ফেলুন।
সপ্তাহে দিন তিনেক এই তিন প্যাকের মধ্যে যে কোনও একটি ব্যবহার করলেই ক্রমশ ট্যান দূর হবে। হাত এবং পায়ে কতটা কালো ছোপ পড়েছে তার উপর নির্ভর করবে ট্যান উঠতে কতদিন সময় লাগবে। পাশাপাশি রোদে বেরালে শুধু মুখ নয়, হাত এবং পায়েও সানস্ক্রিন মাখা জরুরি, বিশেষত উন্মুক্ত অংশে।