মাস্ক পরে কোভিড আটকানো যায়নি? ছবি- সংগৃহীত
কোভিড অতিমারি পর্বের পর ওই ভাইরাসটির সঙ্গে মানুষ যুঝতে শিখেছে মাত্র বছর তিনেক। সেই সময়ে দেশ-বিদেশের সব জায়গায় স্বাস্থ্য দফতর থেকে মুখে মাস্ক পরা এক রকম বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। কিন্তু অতিমারির গতি খানিকটা শ্লথ হওয়ায়, ২০২২ সালের এপ্রিল মাস নাগাদ ‘সেন্টার ফর ডিজ়িজ় কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’ সেই বিধিনিষেধ খানিক লঘু করে দেয়।
হালের গবেষণা বলছে, অতিমারি পর্বে সকলকে মাস্ক পরতে বাধ্য করা হলেও এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া বা রুখে দেওয়ার ক্ষেত্রে এই জিনিসটির বিশেষ ভূমিকা নেই। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রখ্যাত সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ জন গবেষকের করা ৭৮টি সমীক্ষা শেষে উঠে এসেছে এই তথ্য। শুধু তা-ই নয়, মাস্কের প্রকারভেদে সুরক্ষা দেওয়ার ক্ষমতা নিয়েও একটা সময় প্রবল বিতর্ক ছিল। কোন মাস্কের ভাইরাস আটকানোর ক্ষমতা কেমন বা কার কোন মাস্ক পরা উচিত, সে বিষয়েও আলোকপাত করেছেন গবেষকরা।
ওই গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, সার্জিক্যাল এবং এন৯৫ মাস্কের মধ্যে স্পষ্ট কোনও পার্থক্য নেই। সর্দি-কাশি-জ্বরের মতো সংক্রামক ব্যধিগুলি ছড়িয়ে পড়া আটকাতেও তেমন কোনও প্রভাব ফেলে না। কোভিড সংক্রান্ত দেশ-বিদেশের ৭৮টি গবেষণাপত্রে মাস্কের ব্যবহার নিয়ে এমনই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন গবেষকরা।