৫০ বছর পর শেষমেশ পিএইচডি সম্পূর্ণ করতে পেরে উচ্ছ্বসিত নিক। ছবি: সংগৃহীত।
এক, দু’দশক নয়! গুনে গুনে ৫০টি বছর পর পিএইচডি-র গবেষণা সম্পূর্ণ করলেন ৭৬-এর নিক অ্যাক্সটেন।
১৯৭০ সালে পিটস্বার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রীতিমতো বৃত্তি পেয়ে ‘ম্যাথামেটিক্যাল সোশিয়োলজি’-তে পিএইচডি করতে ভর্তি হয়েছিলেন নিক। কিন্তু পাঁচ বছর পর কোনও কারণে তা বন্ধ করে দিতে হয় মাঝপথেই। নিক ফিরে আসেন লন্ডনে। সেই অসম্পূর্ণ পাঠ শেষ করতে আবার ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শুরু করেন।
ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত একটি প্রেস বিবৃতিতে নিক অ্যাক্সটেন ভাগ করে নিয়েছেন তাঁর অভিজ্ঞতার কথা। সেখানে তিনি বলেছেন, “জীবনের কিছু মিষ্টি অঙ্কের হিসাব মেলাতে কেটে যায় জীবনের অর্ধেকটা সময়। যেমন এ ক্ষেত্রে লাগল ৫০টি বছর।”
৫০ বছর পর শেষমেশ পিএইচডি সম্পূর্ণ করতে পেরে উচ্ছ্বসিত নিক। তিনি বলেন, “পিএইচডি করা খুব কঠিন। কিন্তু এই যাত্রার অভিজ্ঞতা অসাধারণ। আবার যদি ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাই, আমার খুব ভাল লাগবে। এই বিভাগে যাঁরা ছাত্রছাত্রী, তাঁদের বয়স ২৩-এর আশপাশে। কিন্তু তাঁরা আমাকে ওঁদের মতোই এক জন ভাবতেন। আর আমারও ওঁদের সঙ্গে কথা বলতে খুব ভাল লাগত।”
ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিকের পিএইচডি সুপারভাইজ়ার সমীর ওকাসা বলেন, “ওঁর বয়সি এক জনকে দীর্ঘ ৫০ বছর পর পিএইচডি সম্পূর্ণ করতে দেখে আমি আপ্লুত!”
২০২৩ সালে ১৪ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিক ভাবে নিক অ্যাক্সটেনকে ‘ডক্টর অফ ফিলোজ়ফি’ সম্মানে সম্মানিত করা হয়। ৮০ ছুঁইছুঁই নিকের সঙ্গে সে দিন উপস্থিত ছিলেন তাঁর স্ত্রী ক্লেয়ার এবং ১১ বছরের নাতনি ফ্রেয়া। বর্তমানে নিক তাঁর স্ত্রী, দুই সন্তান এবং চার নাতি-নাতনির সঙ্গে ওয়েল্সে থাকেন।