অনেক দিন ধরেই ওই বালক তার মায়ের কাছে একটি হেডফোন কিনে দেওয়ার জন্য বায়না করছিল। প্রতীকী ছবি।
হেডফোন কিনে দিতে চাননি মা। সেই রাগে মুখে গুলি করে মাকে হত্যা করল ১০ বছরের এক বালক। ঘটনাটি ঘটেছে আমেরিকার মিশিগানে। অভিযুক্ত ওই বালক প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়ায় তাঁকে আপাতত জুভেনাইল হোমে রাখা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, অনেক দিন ধরেই ওই বালক তার মায়ের কাছে একটি হেডফোন কিনে দেওয়ার জন্য বায়না করছিল। কিন্তু মা তা কিনে দিতে চাননি। ভেবেছিলেন, বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতি নিয়ে বেশি ক্ষণ থাকলে সন্তানের মানসিক বিকাশে তার প্রভাব পড়তে পারে। সেই কারণে বার বার বলা সত্ত্বেও তিনি ছেলেকে হেডফোন কিনে দিতে নারাজ ছিলেন। কিন্তু ওই বালক মায়ের অনুমতি ছাড়াই অনলাইনে একটি হেডফোনের বরাত দিয়ে দেয়। আর তাতেই রেগে যান মা। ছেলেকে খুব বকাবকি করেন। অর্ডার বাতিলও করে দেন। আর তাতেই মায়ের প্রতি ক্ষোভ জন্মায় বালকের মনে।
এর পরেই সে প্রতিশোধ নেওয়ার ছক কষতে থাকে। এক দিন সকালে উঠে ওই বালকের মা জামাকাপড় ইস্ত্রি করছিলেন। তখনই বাবার ড্রয়ার থেকে ছোট পিস্তলটি বার করে নিয়ে গিয়ে মায়ের মুখে গুলি করে ওই বালক। বাধা দিতে এলে ৭ বছর বয়সি বোনকেও মারধর করে সে।
পরিজনেদের বক্তব্য, ছেলেটি ছোট থেকেই বাড়িতে নানা ভাবে গোলমাল পাকায়। ৪ বছর বয়সে বাড়ির পোষ্য কুকুরের লেজ কেটে দিয়েছিল। এক বার বেলুনের মধ্যে এক ধরনের গ্যাস ভরে দেশলাই জ্বালিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল। তার থেকে বাড়িতেও আগুন লেগে যেতে পারত। কোনও মতে নেভানো গিয়েছিল। কিন্তু নিজের মাকেই যে খুন করে ফেলবে, তা কেউই ভাবতে পারেননি। পুলিশ এসে বাড়ি থেকে পিস্তলটি বাজেয়াপ্ত করেছে।