মুম্বইয়ের বাজারচলতি কোনও প্রসাধনী ব্যবহার করেন না নীতা। ছবি: সংগৃহীত
সম্প্রতি দাদু-দিদা হয়েছেন মুকেশ এবং নীতা অম্বানী। মেয়ে ইশা অম্বানীর কোল আলো করে এসেছে যমজ সন্তান। ফলে ‘অ্যান্টিলিয়া’র আনাচেকানাচে এখন খুশির আমেজ। দিদা হয়ে গেলেও নীতাকে দেখে তা বোঝার উপায় নেই। দেশের অন্যতম ধনকুবেরের ঘরনি তিনি। তাঁর জীবনযাপন, পরিচর্যা স্বাভাবিক ভাবেই সাধারণের থেকে একেবারে আলাদা। নীতার বয়স ৫০ পেরিয়েছে অনেক দিন হল। কিন্তু বয়সের ভারে নিজেকে নুইয়ে যেতে দেননি। বরং অনেকের চেয়ে বেশি ফিট। শৌখিনীও বটে। তাঁর সাজগোজ বরাবরই নজর কাড়ে সকলের। পারিবারিক অনুষ্ঠানে জমকালো শাড়িতে হোক কিংবা বিদেশে ঘুরতে গিয়ে শার্ট-ট্রাউজ়ার— সবেতেই সমান আকর্ষণীয় তিনি।
মুম্বই ইন্ডিয়ানসের মালকিনের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে চর্চার শেষ নেই। নীতার ব্যবহৃত পোশাক, ব্যাগ নিয়েও নানা চর্চা হয় সর্বত্র। শোনা যায়, নীতা নাকি বিশ্বের সবচেয়ে দামি জল খান। ৭৫০ মিলিলিটার জলের বোতলের দাম প্রায় ৬০ হাজার ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যা ৪৪ লক্ষ টাকারও বেশি। শেষ নয় এখানেই। বিলাসিতার ছোঁয়া রয়েছে তাঁর জীবনের প্রতিটি পরতে পরতে। তিনি যে কাপে চুমুক দেন, তার দাম নাকি প্রায় তিন লক্ষ টাকা। শুধু কি তাই? কুমীরের চামড়া দিয়ে তৈরি নীতার ব্যবহার করা ২ কোটি ৬ লক্ষ টাকা দামের ব্যাগ নিয়ে বেশ হইচই পড়ে গিয়েছিল। ২০১৭ সালে ওই ব্যাগটি ব্রিটেনে ‘ক্রিস্টিজ’-এ নিলামে উঠেছিল। তালিকা এখানেই শেষ নয়। নামীদামি সংস্থা থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে কেনা জুতোও ব্যবহার করেন তিনি।
লিপস্টিকের সংগ্রহে আছে বিদেশের নামী সংস্থার তৈরি সব লিপস্টিক। ছবি: সংগৃহীত
সাজগোজ করতে বরাবরই ভালবাসেন নীতা। তাঁর প্রসাধন সামগ্রী দেখলে বিস্মিত হতে হয়। কী নেই সেই তালিকায়? লিপস্টিক থেকে মাসকারা— সব কিছুর দাম আকাশছোঁয়া। অনেকে বলেন, এই লিপস্টিকগুলির দামে নাকি গোটা একটা ফ্ল্যাট কেনা যায়। মুম্বইয়ের বাজারচলতি কোনও প্রসাধনী তিনি ব্যবহার করেন না। নীতার ব্যবহৃত সব প্রসাধন সামগ্রী আসে বিদেশ থেকে। বিশ্বের সবচেয়ে দামি লিপস্টিক ব্যবহার করেন বলেও শোনা যায়। তাঁর লিপস্টিকের সংগ্রহে আছে বিদেশের নামী সংস্থার তৈরি সব লিপস্টিক। নীতা যে লিপস্টিক দিয়ে ঠোঁট রাঙান তার দাম নাকি ৪০ লক্ষ টাকা!