তেলঙ্গানার নিহত যুবক। ছবি: সংগৃহীত।
খালের ধারে মিলল দলিত যুবকের রক্তাক্ত দেহ। সোমবার সকালে তেলঙ্গানার সূর্যপেট জেলার পিল্লালামারির কাছে মুসির খালের ধারে ওই যুবকের দেহ উদ্ধার হয়েছে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকা জুড়ে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যদিও নিহতের বাবার অভিযোগ, ছেলের স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা মিলেই ‘সম্মানরক্ষার্থে খুন’ করেছেন তাঁর ছেলেকে!
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত যুবকের নাম বদলাকোন্ডা কৃষ্ণ ওরফে বান্টি (৩২)। সূর্যপেট শহরের মমিল্লাগড্ডার বাসিন্দা ছিলেন বান্টি। পুলিশ সুপার সানপ্রীত সিংহ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে এই ঘটনাকে পরিবারের সম্মানরক্ষার্থে খুন বলেই মনে করছে পুলিশ। তবে খুনের নেপথ্য কারণ জানতে আরও তদন্ত চলছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিবারের অমত থাকা সত্ত্বেও মাস ছয়েক আগে ভিন্ন বর্ণের এক তরুণীকে বিয়ে করেছিলেন বান্টি। কোটলা ভার্গবী নামে ওই তরুণী গৌড় বর্ণভুক্ত, যা তেলঙ্গানায় অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি (ওবিসি)-র আওতায় পড়ে। সে সময় দুই পরিবারই বান্টি-ভার্গবীর বিয়েতে অসম্মতি জানিয়েছিল। তাই অনেকে মনে করছেন, পরিবারের সম্মান বাঁচাতে দলিত যুবককে খুন করেছেন শ্বশুরবাড়ির পরিজনেরাই।
যদিও ভার্গবী জানাচ্ছেন, রবিবার সন্ধ্যায় মহেশ নামে এক বন্ধুর ফোন পেয়ে হঠাৎ বেরিয়ে যান তাঁর স্বামী। ফোনটিও বাড়িতে রেখে গিয়েছিলেন। তার পর থেকে তাঁর আর খোঁজ মেলেনি। সারা রাত খোঁজাখুঁজির পর সোমবার সকালে মুসির খালের ধারে তাঁর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। ভারী পাথর দিয়ে যুবকের মাথা থেঁতলে দেওয়া হয়েছিল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। কে বা কারা কেন ওই যুবককে খুন করলেন, জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত। মৃতের দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য সূর্যপেটের সরকারি জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বান্টির দেহ যেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে, তার পাশেই পড়েছিল একটি নম্বর প্লেটবিহীন বাইক। সেই বাইকটিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বাইকের মালিকের খোঁজও শুরু করেছে পুলিশ।