Nimisha Priya Death Sentence

প্রেসিডেন্ট নন, ভারতীয় নার্সের মৃত্যুদণ্ডে সায় দিয়েছে হুথি! নয়াদিল্লিকে বলল ইয়েমেনের দূতাবাস

ইয়েমেনের উত্তরাংশ দীর্ঘ দিন ধরেই সে দেশের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথির নিয়ন্ত্রণাধীন। সেখানে সমান্তরাল ভাবে সরকারও চালায় তারা। এই হুথিকে আবার সমর্থন করে ইরান।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:০৭
Share:

ইয়েমেনে বন্দি ভারতীয় নার্স নিমিশা প্রিয়া। —ফাইল চিত্র।

ইয়েমেনে বন্দি ভারতীয় নার্স নিমিশা প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ডে সিলমোহর দিয়েছে সে দেশের বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথি। সোমবার নয়াদিল্লিতে অবস্থিত ইয়েমেনের দূতাবাস একটি বিবৃতি দিয়ে এমনটাই জানিয়েছে। এর আগে জানা গিয়েছিল যে, সোমবার বন্দি ভারতীয় নার্সের মৃত্যুদণ্ডে সিলমোহর দিয়েছেন ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট রাশাদ আল-আমিনি। কিন্তু ইয়েমেনের দূতাবাস সোমবার জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট নন, এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হুথির সর্বোচ্চ রাজনৈতিক পরিষদের নেতা মেহদি আল-মশাত।

Advertisement

প্রসঙ্গত, ইয়েমেনের উত্তরাংশ দীর্ঘ দিন ধরেই হুথির নিয়ন্ত্রণাধীন। সেখানে সমান্তরাল ভাবে সরকারও চালায় তারা। নিমিশা যে ঘটনায় অভিযুক্ত এবং পরে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন, সেটিও উত্তর ইয়েমেনে ঘটে। তা ছাড়া নিমিশা যে জেলে বন্দি, সেটিও ইয়েমেনের উত্তরাংশে অবস্থিত। ইয়েমেনের বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীকে আবার সমর্থন করে ইরান। নিমিশার মৃত্যুদণ্ড রদ করতে ভারত এবং হুথির মধ্যে মধ্যস্থতা করতে রাজি হয়েছে ইরান।

ইয়েমেনের এক নাগরিককে খুনের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়ে ৩৭ বছরের নিমিশা এখন সে দেশের জেলে বন্দি রয়েছেন। তার পর থেকে আলোচনার কেন্দ্রে ইয়েমেন অভিবাসী কেরলের তরুণী। এক মাসের মধ্যে নিমিশার সাজা কার্যকর হতে পারে বলে জানিয়েছে সে দেশের আদালত। মেয়ের প্রাণ বাঁচানোর জন্য কেন্দ্র এবং কেরল সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছেন নিমিশার মা। তিনিও ইয়েমেনেই রয়েছেন। কেন্দ্রের তরফেও ইতিমধ্যে পরিবারকে সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

নিমিশা কেরলের পালাক্কড় জেলার কোল্লেনগোড়ের বাসিন্দা। ইয়েমেনে নার্সের কাজ করতেন। অভিযোগ, তাঁর ব্যবসায়িক সহযোগী তালাল আবদো মাহদিকে অতিরিক্ত পরিমাণ ঘুমের ওষুধের ইঞ্জেকশন দিয়েছিলেন নিমিশা। তাতেই মৃত্যু হয় ইয়েমেনের ওই নাগরিকের। তালালের কাছে পাসপোর্ট ছিল নিমিশার। সেই পাসপোর্ট উদ্ধার করতেই এই কাণ্ড নিমিশা ঘটিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। ২০১৭ সালের জুলাই মাসে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে ইয়েমেনের আদালত। ২০২০ সালে নিম্ন আদালত ফাঁসির সাজা দেয় নিমিশাকে। ২০২৩ সালের নভেম্বরে সেই সাজা বহাল রাখে ইয়েমেনের সর্বোচ্চ আদালত। তার পর নাকি মৃত্যুদণ্ডে সিলমোহর দেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট। ইয়েমেনের দূতাবাসের অবশ্য দাবি, প্রেসিডেন্ট নন, হুথিই এই বিষয়ে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement