মণিপুরে জনজাতি মহিলাদের বিক্ষোভ। ছবি: সংগৃহীত।
স্বাধীনতা দিসবেস আগে নতুন করে বিক্ষোভে উত্তাল হল মণিপুর। ‘সৌজন্যে’ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মন্তব্য। গত ৯ অগস্ট লোকসভায় নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ‘ইন্ডিয়া’র আনা অনাস্থা প্রস্তাবের বিতর্কে শাহ দাবি করেছিলেন, ‘মণিপুরের জনজাতিরা মায়ানমার থেকে এসেছেন’। তাঁর এই মন্তব্যের প্রতিবাদে সোমবার কুকি জনজাতির প্রায় হাজার হাজার মহিলা বিক্ষোভ দেখালেন।
মণিপুরের জনজাতি সংগঠন ‘ইন্ডিজেনাস ট্রাইবাল লিডার্স ফোরাম’ (আইটিএলএফ) শাহের মন্তব্যের প্রতিবাদে গত সপ্তাহেই আন্দোলনের ডাক দিয়েছিল। সোমবার জনজাতি সংগঠন ‘কমিটি অন ট্রাইবাল ইউনিটি সদর হিল্স’-এর মহিলা শাখার ডাকে কংপোকপি জেলায় প্রায় ১০ হাজার কুকি-জ়ো মহিলা বিক্ষোভ দেখান। তাঁরা স্লোগান তোলেন, ‘আমরা অনুপ্রবেশকারী নই, ভারতের নাগরিক’।
প্রসঙ্গত, লোকসভার গত বুধবার শাহ দাবি করেছিলেন, ২০২১ সালে মায়ানমার সরকার কুকি-চিন পাহাড়ে জঙ্গিদমন অভিযান শুরুর পরে বহু জনজাতি মণিপুরের পাহাড়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তাঁদের আগমনে মণিপুরে জনবিন্যাস বদলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে হিংসা ঠেকাতে কুকি এবং মেইতেই বসতির মধ্যবর্তী ‘বাফার’ এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের কথা জানিয়েছিলেন।
এরই মধ্যে স্বাধীনতা দিবসের আগে চিরুনি তল্লাশি চালিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর থেকে গত তিন মাসে লুট হওয়া বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধারের কথা জানিয়েছে মণিপুর পুলিশ। জঙ্গি হামলার আশঙ্কায় রাজধানী ইম্ফল-সহ প্রত্যন্ত জেলাগুলিতেও বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা নজরদারি। ইতিমধ্যেই সংখ্যাগুরু মেইতেই জনগোষ্ঠীর কয়েকটি সংগঠন স্বাধীনতা দিবস বয়কটের কথা ঘোষণা করায় তৈরি হয়েছে উত্তেজনা। যদিও কুকি সংগঠনগুলির যৌথমঞ্চের তরফে জাতীয় পতাকা নিয়ে স্বাধীনতা দিবস পালনের ডাক দেওয়া হয়েছে।