প্রতীকী ছবি।
করোনা প্রতিষেধক পেয়েছেন মৃত ব্যক্তি! এমনই ঘটনা ফের সামনে এসেছে। ১৩ এপ্রিল করোনা প্রতিষেধকের প্রথম ডোজ় পেয়েছিলেন হরিয়ানার বাহাদুরগড়ের সুমিত্রা দেবী। চলতি বছরের ৪ মে মৃত্যু হয় তাঁর। কিন্তু ২৭ অগস্ট সুমিত্রার দ্বিতীয় ডোজ় প্রতিষেধক নেওয়ার মেসেজ পেয়েছেন পরিজন। মৃত্যুর পরে কী ভাবে ওই মহিলা প্রতিষেধক নিয়েছেন, তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে বিজেপি শাসিত হরিয়ানা সরকার। সুমিত্রার পরিজনই সম্প্রতি বিষয়টি সামনে এনেছেন। মধ্যপ্রদেশেও একই ধরনের ঘটনা সামনে এসেছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্মদিনে তাঁর টিকা নেওয়ার বিষয়টি নথিভুক্ত হয়। বিরোধীদের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে রেকর্ড সংখ্যক টিকাকরণ দেখাতেই মধ্যপ্রদেশের ওই মৃত ব্যক্তিকে টিকা দেওয়া হয়েছিল। বিহারে আবার টিকা নেওয়ার তিন-চার দিন পরে ঠিক প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনেই তা সরকারি ভাবে নথিভুক্ত করা হয়। যাতে টিকাকরণ বাড়ানো যায়।
আজ মধ্যপ্রদেশ ও বিহারের দুই ঘটনার অভিযোগই খারিজ করে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ। তিনি বলেন, বিহারের অভিযোগ ঠিক নয়। আর মধ্যপ্রদেশের রাজেশের বক্তব্য ওই ব্যক্তি টিকা নিতে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন, তখনই তার মৃত্যু হয়। সম্ভবত কোনও কারণে ভুলবশত নথিভুক্ত করা হয়েছে ওই ব্যক্তির নাম। এই দু’রাজ্যেও ক্ষমতাসীন বিজেপি বা বিজেপির জোট। ফলে বিরোধীদের নিশানার মুখে বিজেপিই।
এ দিকে দেশে সংক্রমণের দাপট কমলেও মুম্বইয়ের কিং এডওয়ার্ড মেমোরিয়াল হাসপাতালের অন্তত ৩০ জন পড়ুয়া কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। ওই ৩০ জনের মধ্যে ২৮ জনের আবার প্রতিষেধকের দু’টি ডোজ়ই নেওয়া ছিল। সংক্রমিতদের মধ্যে ২৩ জন এমবিবিএসের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া। বাকি সাত জন প্রথম বর্ষের। ইতিমধ্যেই এক জনকে সেভেন হিলস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা বিচ্ছিন্নবাসে রয়েছেন। চলতি সপ্তাহে বেঙ্গালুরুর এক আবাসিক স্কুলে ৬০ জন পড়ুয়া সংক্রমিত হয়েছিলেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) জানিয়েছে, কোভ্যাক্সিনের ছাড়পত্রের জন্য ভারত বায়োটেকের আবেদনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে অক্টোবরেই। হু-র বক্তব্য, কোভ্যাক্সিনের মূল্যায়নের প্রক্রিয়া এখনও চলছে।