—প্রতীকী চিত্র।
স্বামীকে খুন করে দেহ দু’টুকরো করে কাটলেন মহিলা। তার পর সেই দেহ ফেলে দিলেন কুয়োর জলে! প্রায় এক মাস পরে ওই খুনের কিনারা করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে মৃত ব্যক্তির স্ত্রীকে। পুলিশের জেরার মুখে অপরাধের কথা তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন বলে দাবি।
কর্নাটকের বেলাগাভি জেলার উমারানি গ্রামের ঘটনা। মৃতের নাম শ্রীমন্ত ইতনালি। গত ১০ ডিসেম্বর গ্রামের কুয়ো থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃতের স্ত্রীকে একাধিক বার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি প্রাথমিক ভাবে ভুল তথ্য দিয়ে তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। পরে স্বীকারোক্তি আদায় করে নেয় পুলিশ। মহিলা তাদের জানান, বছরের পর বছর ধরে স্বামীর হাতে তিনি নিগৃহীত হয়েছেন। স্বামী দিনরাত মদ খেতেন এবং তাঁকে মারধর করতেন। তাঁর জমিও বিক্রি করার চেষ্টা করছিলেন। তাই রাগের মাথায় এই খুন করেছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ৮ ডিসেম্বর দাম্পত্য কলহের পর স্বামীকে খুন করেন মহিলা। জমি বিক্রি করা নিয়ে তাঁদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল। অভিযোগ, জমি বিক্রির টাকা দিয়ে নতুন বাইক কিনতে চেয়েছিলেন ব্যক্তি। স্ত্রী তাতে রাজি হননি। মদ খেয়ে এর পর স্ত্রীকে তিনি মারধর করেন বলেও অভিযোগ।
স্বামী ঘুমিয়ে পড়লে তাঁকে খুনের পরিকল্পনা করেন মহিলা। প্রথমে স্বামীর গলা টিপে ধরেন। তিনি সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়লে বড় পাথরের খণ্ড দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করেন এবং মাথা থেঁতলে দেন। স্বামীকে খুনের পরেই পাথরের খণ্ডটি কুয়োয় ফেলে দিয়েছিলেন মহিলা। তার পর স্বামীর দেহ দু’টুকরো করে কাটেন। তা-ও ফেলে দেন সেই কুয়োতেই।
প্রায় এক মাস পরে বৃহস্পতিবার পুলিশের জেরার মুখে স্বামীকে খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন মহিলা। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। কেন এবং কোন পরিস্থিতিতে তিনি এই খুন করেছেন, নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ ছিল কি না, জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।