আমেরিকার নিউ অরলিন্স শহরে ট্রাক নিয়ে হামলা। পুলিশের গুলিতে হত ঘাতক (বাঁ দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
বরফের কুলারের মধ্যে অন্তত দু’টি বোমা রেখেছিল ঘাতক। গাড়িতেই ছিল তার রিমোট। আমেরিকার নিউ অরলিন্স শহরে হামলার নয়া তথ্য হাতে পেলেন গোয়েন্দারা। আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা ফেডেরাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)-কে উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, ঘাতক যুবক একাই হামলার পরিকল্পনা করেছিল। এখনও পর্যন্ত আর কারও এই হামলার সঙ্গে যুক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বর্ষবরণের রাতে শহরে বড়সড় বিস্ফোরণের পরিকল্পনা ছিল তার। তবে তা সফল হয়নি।
নিউ অরলিন্সে বর্ষবরণ উদ্যাপনের ভিড়ে আচমকা ট্রাক নিয়ে হামলা চালায় এক ব্যক্তি। ভিড়ের উপর তীব্র গতিতে ট্রাক তুলে দিয়ে পিষে দেয় বহু মানুষকে। তার পর ট্রাকের ভিতর থেকেই নির্বিচারে গুলি চালাতে শুরু করে। ঘটনাস্থলেই পুলিশের গুলিতে তার মৃত্যু হয়। এই হামলায় ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা ৩০-এরও বেশি। ঘাতক ব্যক্তিকে শামসুদ্দিন জব্বর হিসাবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। সে আমেরিকার নাগরিক এবং টেক্সাসের বাসিন্দা। তার গাড়ি থেকে জঙ্গি সংগঠন আইএসের পতাকা পাওয়া গিয়েছে। ওই সংগঠনের সঙ্গে সে যুক্ত ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। গাড়ি থেকে আগ্নেয়াস্ত্র এবং একাধিক বিস্ফোরক পদার্থ উদ্ধার করা হয়েছে। এফবিআই জানিয়েছে, গাড়িতে রিমোট নিয়ে ঘুরছিল সে। ফ্রেঞ্চ কোয়ার্টারে নিকটবর্তী এলাকায় দু’টি জায়গায় দু’টি বরফের কুলারের মধ্যে আগে থেকে রাখা ছিল বিস্ফোরক পদার্থ। রিমোটের মাধ্যমে সেই বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা করেছিল সে।
আমেরিকার গোয়েন্দারা প্রথমে অনুমান করেছিলেন, একাধিক ব্যক্তির যোগ রয়েছে এই হামলার সঙ্গে। কিন্তু তাঁরা এখনও পর্যন্ত তেমন কোনও নিশ্চিত প্রমাণ হাতে পাননি। বরফের কুলারের মধ্যে বিস্ফোরকও ঘটনার আগের দিন রেখে এসেছিল ঘাতকই। সিসিটিভি ফুটেজে তা দেখা গিয়েছে। বাইডেন বলেছেন, ‘‘এফবিআইয়ের থেকে আমি জানতে পেরেছি, হামলার কয়েক ঘণ্টা আগে সমাজমাধ্যমে ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন ওই ব্যক্তি। সেখানে তিনি নিজেকে আইএসের দ্বারা প্রভাবিত বলে ঘোষণাও করেন। ভিডিয়োতেই তিনি জানিয়েছিলেন, তিনি মানুষ মারতে চান। তাঁর গাড়িতেও জঙ্গি সংগঠনের পতাকা পাওয়া গিয়েছে। হামলার জন্য ওই গাড়িটি তিনি ভাড়া নিয়েছিলেন। বরফ কুলারের মধ্যে রাখা বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।’’