প্রতীকী ছবি।
চাকার সাহায্যে গাড়িও চলে, আবার ট্রেনও চলে। তা হলে গাড়ি, বাইক বা সাইকেলের চাকায় টায়ার থাকে কেন, আর ট্রেনের চাকায় থাকে না কেন? এই প্রশ্ন নিয়ে কখনও মাথা ঘামিয়েছেন? কেউ হয়তো বলবেন হ্যাঁ, কেউ বলবেন না। আবার অনেকেই হয়তো বলবেন, এতে মাথা ঘামানোর কী আছে! এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়া নিয়ে কথা। সেটা হলেই যথেষ্ট।
তা-ও এই প্রশ্নের উত্তর জেনে রাখা ভাল। সায়েন্স এবিসি-র তথ্য বলছে, টায়ারের ধরন বেশি নির্ভর করে কয়েকটি বিষয়ের উপর। যেমন, ঘর্ষণ, গতি এবং যার উপর দিয়ে যানবাহন চলছে। অর্থাৎ চলার পথ।
অনেক ওজন নিয়ে, দুরন্ত গতিতে দূরের পথ অতিক্রম করতে হয় ট্রেনকে। যে হেতু লোহার চাকা ঘর্ষণ রবারের টায়ারের তুলনায় কম, তাই খুব মসৃণ ভাবেই পথ অতিক্রম করতে পারে। যে হেতু রেললাইনের উপরিতল একই থাকে, তাই সহজেই দ্রুতগতিতে ছুটতে পারে ট্রেন। রেললাইনের সঙ্গে ঘর্ষণের মাত্রা কম হয় বলে সহজে গতিরুদ্ধ হয় না। ট্রেনের চাকার সঙ্গে লাইনের ঘর্ষণ যাতে কম হয়, সে ভাবেই তৈরি করা হয় রেললাইনগুলিকে। ট্রেনের চাকায় যদি টায়ার লাগানো হত, তা হলে গতির জন্য আরও বেশি শক্তি খরচ করতে হত। শুধু তাই-ই নয়, জ্বালানিও অনেক বেশি প্রয়োজন হত।
অন্য দিকে, গাড়িকে বিভিন্ন তলে চলতে হয়। কখনও ট্রাফিকে আচমকা দাঁড়িয়ে যেতে হয়। এর ফলে গাড়ির চাকাকে চলার পথের গ্রিপ মজবুত করতেই হয়। আর এই কারণেই গাড়ির চাকায় টায়ার লাগানো থাকে।