Amritpal Singh

পঞ্জাব বা দিল্লির জেলে নয়, কেন খলিস্তানি নেতা অমৃতপাল সিংহকে অসমে নিয়ে যাওয়া হল?

৩৬ দিন পলাতক থাকার পর রবিবার পঞ্জাবের মোগা থেকে গ্রেফতার হন অমৃতপাল। অবশ্য তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্রের দাবি, নিজেই পুলিশের কাছে ধরা দিয়েছেন খলিস্তানি নেতা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৩ ১২:১১
Share:

পঞ্জাবের মোগা থেকে গ্রেফতার খলিস্তানি নেতা অমৃতপাল সিংহ। ফাইল চিত্র।

তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে পঞ্জাব থেকে। কিন্তু তার পরেও খলিস্তানি নেতা অমৃতপালকে পঞ্জাব বা দিল্লির জেলে না রেখে অসমে নিয়ে যাওয়া হল কেন? কেনই বা তাঁর সহযোগীদের অসমের জেলে বন্দি করে রাখা হয়েছে?

Advertisement

৩৬ দিন পলাতক থাকার পর রবিবার পঞ্জাবের মোগা থেকে গ্রেফতার হন অমৃতপাল। অবশ্য তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্রের দাবি, নিজেই পুলিশের কাছে ধরা দিয়েছেন খলিস্তানি নেতা। যদিও পঞ্জাব পুলিশের আই জি সিখচেইন সিংহ গিল বলেন, “রবিবার সকাল পৌনে ৭টা নাগাদ মোগার রোড় গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে অমৃতপালকে। তাঁর বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে মামলা রুজু করা হয়েছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ গোটা গ্রাম ঘিরে ফেলেছিল। ফলে ওঁর হাতে আর কোনও বিকল্প পথ ছিল না। তাই বাধ্য হয়েই আত্মসমর্পণ করেছেন।”

আই জি আরও জানিয়েছেন, গ্রেফতারির পরই অমৃতপালকে অসমের ডিব্রুগড় সেন্ট্রাল জেলে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু পঞ্জাব বা দিল্লিতে কঠোর নিরাপত্তাজনিত জেল থাকা সত্ত্বেও কেন কয়েকশো কিলোমিটার দূরে অসমে নিয়ে যাওয়া হল খলিস্তানি নেতাকে? এ প্রসঙ্গে কী বলছে পুলিশ?

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, পঞ্জাব এবং দিল্লির যে জেলে অমৃতপালকে রাখা সম্ভব ছিল, সেই সব জেলে বিভিন্ন রাজ্যের গ্যাংস্টার এবং তাঁদের শাগরেদরা বন্দি। তা ছাড়া, এই সব জেলে বন্দি বেশ কিছু গ্যাংস্টারের সঙ্গে খলিস্তানি সংগঠনের ভাল যোগাযোগ রয়েছে। ফলে পঞ্জাব বা দিল্লির জেলে রাখলে সেই সব গ্যাংস্টারদের সঙ্গে অমৃতপালের একটা চক্র গড়ে তোলার আশঙ্কা জোরালো হবে। শুধু তাই-ই নয়, জেলের নিরাপত্তাও বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিতে পারে। তাই কোনও রকম ঝুঁকি নিতে চায়নি পঞ্জাব এবং দিল্লি পুলিশ।

খলিস্তানি নেতাকে বন্দি রাখার জন্য কেনই বা অসমকে বেছে নেওয়া হল? ডিব্রুগড় সেন্ট্রাল জেল তৈরি হয়েছিল ১৮৫৯-’৬০ সালে। এটা সে রাজ্যের সবচেয়ে নিরাপদ জেল। উত্তর-পূর্ব ভারতের সবচেয়ে প্রাচীন জেল এটি। বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আলফা-র বহু শীর্ষস্তরের নেতাদের এই জেলেই বন্দি রাখা হত। ফলে কড়া নিরাপত্তায় মোড়া এই জেলকেই সুরক্ষিত বলে মনে হয়েছে পুলিশের। শুধু অমৃতপাল নয়, তাঁর ঘনিষ্ঠ সঙ্গী পপ্পলপ্রীত সিংহ-সহ আরও ৯ জনকে আগেই এই সেন্ট্রাল জেলে নিয়ে আসা হয়েছে।

খলিস্তানি নেতা এবং তাঁর সঙ্গীদের এই জেলে নিয়ে আসার পর নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে। জেলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, নিরাপত্তায় কোনও রকম ফাঁক রাখতে চাইছেন না তাঁরা। খলিস্তানিদের নিয়ে আসার পর থেকেই বহুস্তরীয় নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে ডিব্রুগড় সেন্ট্রাল জেল। যেখানে খলিস্তানি নেতা এবং তাঁর সঙ্গীদের রাখা হয়েছে সেখানে সিসিটিভি ক্যামেরা, জোরালো সার্চ লাইটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেল সূত্রে খবর, জেলের নিরাপত্তায় সিআরপিএফ ছাড়াও কম্যান্ডো বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। জেলে মোট ৬৮০ জন বন্দি থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। তবে বর্তমানে সেখানে বন্দির সংখ্যা ৪৩০।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement