তিহাড় জেলে বন্দি কেজরীওয়াল। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেটের (ইডি) হেফাজত শেষেই সোমবার থেকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর নতুন ঠিকানা তিহাড় জেল। ২ নম্বর জেলে রয়েছেন কেজরী। তিহাড় জেলের এই অংশেই রয়েছেন বেশ কয়েক জন কুখ্যাত দুষ্কৃতী। যারা এখন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিবেশী।
এই ২ নম্বর জেলেই রয়েছে ‘আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন’ দাউদ ইব্রাহিমের এক সময়ের সঙ্গী ছোটা রাজন। এ ছাড়াও রয়েছে গ্যাংস্টার নীরজ বওয়ানা এবং জঙ্গি জিয়াউর রহমান। তবে এদের সকলকেই জেলের ‘হাই রিস্ক’ ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। কিন্তু কেজরীওয়ালকে ওই ওয়ার্ডে রাখা হয়নি বলে বেশ কয়েকটি সাংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। তাঁকে ওই ওয়ার্ড থেকে বেশ কিছুটা দূরে সাধারণ ব্যারাকে রাখা হয়েছে।
‘হাই রিস্ক’ ওয়ার্ড জেলের ভিতরে সম্পূর্ণ আলাদা একটি অংশ। এই ওয়ার্ডের প্রবেশ এবং বেরোনোর পথও আলাদা। তিহাড়ে মোট ৯টি জেল রয়েছে। তার মধ্যে ৬ নম্বর জেলটি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। জেল সূত্রে খবর, কেজরীওয়ালকে একেবারে সুরক্ষিত জায়গায় রাখা হয়েছে। তাঁর সঙ্গে অন্য কোনও কয়েদি দেখাসাক্ষাৎ করতে পারবেন না।
১ এপ্রিল (সোমবার) ইডির হেফাজত শেষ হতেই দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত তাঁকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। সোমবার বিকেল ৪টে ১৩ মিনিটে তিহাড় জেলে নিয়ে আসা হয় কেজরীকে। ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত তিনি ২ নম্বর জেলে থাকবেন। যে ২ নম্বর ব্যারাকে রাখা হয়েছে কেজরীকে, কিছু দিন আগে সেখানে ছিলেন তাঁরই দলের নেতা সঞ্জয় সিংহ। পরে তাঁকে ৫ নম্বর ব্যারাকে স্থানান্তর করা হয়। অন্য দিকে, কেজরীরই আর এক মন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়া রয়েছেন ১ নম্বর ব্যারাকে। আবগারি দুর্নীতি মামলায় তিনিও জেলবন্দি। এই মামলাতেই গ্রেফতার বিআরএস নেত্রী কে কবিতা বন্দি রয়েছেন ৬ নম্বর ব্যারাকে। এই মামলায় আরও এক অভিযুক্ত বিজয় নায়ারও ৪ নম্বর ব্যারাকে বন্দি।