রাম সেতু নিয়ে শুরু হবে গবেষণা। ফাইল ছবি
কবে রাম সেতু তৈরি হয়েছিল? আদৌ কি এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব আছে? নাকি পুরোটাই মহাকাব্যের গল্প? তাই নিয়েই এ বার গবেষণা হবে। রাম সেতুর বয়স নির্ধারণ করতে চলবে পরীক্ষানিরীক্ষা। এই বছরে শুরু হওয়া এই গবেষণায় খতিয়ে দেখা হবে, কী ভাবে ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে এই সেতুর আকারে ভুখণ্ড, যা বর্তমানে জলার তলায়, তা তৈরি হল। এই গবেষণা রামায়ণের ঐতিহাসিক গুরুত্ব সম্পর্কে জোরালো যুক্তি দিতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। আর্কিয়োলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার অধীনস্থ কেন্দ্রীয় নৃতাত্ত্বিক গবেষণা পরিষদ এই প্রকল্পে সায় দিয়েছে। এই গবেষণার আবেদন করেছিল গোয়ার কেন্দ্রীয় সমুদ্র বিজ্ঞান কেন্দ্র।
অনেকগুলি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণ করে এই রাম সেতুর বিষয়ে গবেষণা করা হবে। সাধারণ রেডিওমেট্রিক পদ্ধতি দিয়ে এই প্রাকৃতিক ভূখণ্ডের বয়স কত হল তা বোঝার চেষ্টা করা হবে। বিজ্ঞানীরা মনে করে এটি কোরাল ও ঝামাপাথরে তৈরি। যদি জলের তলায় থাকা এই প্রাকৃতিক ভূখণ্ডের বয়স বোঝা যায়, তা হলে রামায়ণের কালও বোঝা সম্ভব হতে পারে। সাধারণত রেডিওমেট্রিক পদ্ধতিতে রেডিয়ো অ্যাক্টিভ বিকিরণের মাধ্যমে বস্তুর বয়স নির্ধারণ করা হয়। এ ছাড়া টিএল ডেটিংয়ের সাহায্যে আলোর প্রতিফলনের মাধ্যমে একই কাজ করা হয়।
তামিলনাড়ু নির্বাচনের পূর্বে এই গবেষণার বৈজ্ঞানিক গুরুত্বের পাশাপাশি রয়েছে রাজনৈতিক গুরুত্বও। এর আগেও একাধিকবার দাবি করা হয়েছে এই সেতুটি মানুষের হাতে তৈরি। যদিও ২০০৭ সালে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়, মানুষের তৈরির তত্ত্ব একেবারেই ঠিক নয়।
এই গবেষণার জন্য জাতীয় সমুদ্রবিজ্ঞান কেন্দ্র ব্যবহার করে দুটি বড় আকারের জাহাজ। সমুদ্রতলের ৩৫-৪০ মিটার নীচে থাকা এই পাথুরে জমির পলি সংগ্রহ করা হবে। একটি বিশেষ দল এই গোটা প্রকল্প পর্যবেক্ষণ করবে। পাশাপাশি গবেষণায় দেখা হবে, রাম সেতুর চারপাশে কোথাও কোনও বসতি ছিল কি না। একজন আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার কর্মী জানিয়েছেন, ১৯৬৪ সালের ঝড়ে একটি আস্ত গ্রাম সমুদ্রের তলায় চলে যায়। মনে করা হয়, সেটি রাম সেতুর পাশেই ছিল।
আরও পড়ুন: লালকেল্লায় নয়, দিল্লি সীমান্তে হবে ট্র্যাক্টর র্যালি: কৃষক নেতারা
আরও পড়ুন: জট বাড়ল কৃষক সঙ্কটে, সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত কমিটি ছাড়লেন ভূপেন্দ্র