মোদীকে চিঠি মমতার গ্রাফিক সনৎ সিংহ
প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে বাংলার ট্যাবলো বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করুন। মোদীকে চিঠি লিখে আর্জি মমতার। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে তিনি হতবাক এবং ব্যথিত। এতে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অপমান করা হয়েছে। বিষয়টি পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী চিঠিতে লিখেছেন, ‘দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অগ্রণী ভুমিকা নিয়েছিল বাংলা। তাই কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে বাংলার মানুষে ব্যথিত হয়েছেন।’
স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষের কথা বিবেচনা করে এ বছর প্রজাতন্ত্র দিবস এবং নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মবার্ষিকী এক সঙ্গে পালন করার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। বিষয়টি নজরে রেখে ট্যাবলো পাঠানোর অনুমতি চেয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। কিন্তু তা বাতিল করে কেন্দ্র। গত বছরও কেন্দ্র রাজ্যের কন্যাশ্রী ও একাধিক সামাজিক প্রকল্প-সহ ট্যাবলো বাতিল করে।
এ বছর কেন্দ্র আয়োজিত প্রজাতন্ত্র দিবসের থিম ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’। কেন্দ্রীয় সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মবার্ষিকীকে মর্যাদা দিতে ২৩ জানুয়ারি থেকে প্রজাতন্ত্র দিবস উদ্যাপন শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে এ-ও জানা গিয়েছে যে, নেতাজির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এখন থেকে প্রতি বছরই ২৪ জানুয়ারির পরিবর্তে ২৩ জানুয়ারি থেকে প্রজাতন্ত্র দিবস উদ্যাপন শুরু হবে। তা নজরে রেখেই বাংলার থিমের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘নেতাজি ও আজাদহিন্দ বাহিনী’।
স্বাধীনতা সংগ্রামে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, অরবিন্দ ঘোষ থেকে বিরসা মুন্ডার মতো ব্যক্তিত্বের কী ভূমিকা ছিল, চিঠিতে ,তা দেখিয়েছেন মমতা। লিখেছেন, ‘ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় প্রথম জাতীয়তাবাদের মন্ত্র ‘বন্দেমাতরম’ লিখেছিলেন। যা পরে জাতীয় গান হয়। রমেশচন্দ্র দত্ত প্রথম ব্রিটিশদের ঔপনিবেশিক অর্থনীতির সমালোচনা করে প্রবন্ধ লিখেছিলেন। সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় দেশে প্রথম জাতীয় রাজনৈতিক সংগঠন ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন তৈরি করেন।’
মমতার বক্তব্য বাংলার ট্যাবলো বাদ দেওয়ার অর্থ এই ইতিহাসকে অস্বীকার করা। যা বাঙালিকে অপমান করার সামিল। যে কারণেই চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ‘কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে আমি হতবাক এবং ব্যথিত। এতে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অপমান করা হয়েছে।’