S Jaishankar

এলএসি-তে শুরু হবে টহলদারি: জয়শঙ্কর

গত সপ্তাহে সাউথ ব্লক জানিয়েছিল, সপ্তাহব্যাপী বিভিন্ন মঞ্চে ভারত-চিনের কূটনৈতিক এবং সামরিক মধ্যস্থকারীদের আলোচনায় উভয় দেশ একটি রফাসূত্রে পৌঁছেছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২৪ ০৮:৪৭
Share:

বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। —ফাইল ছবি।

পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি)-য় সংঘাতের অবসান ঘটিয়ে ‘টহলদারি সীমানা’ নির্ধারণের ব্যাপারে সহমত হয়েছিল নয়াদিল্লি এবং বেজিং। লাদাখের দেপসাং এবং ডেমচক থেকে চিনের সেনা সরিয়ে নেওয়া এবং দু’দেশের টহলদারিতে সম্মত হওয়া— সংঘাত নিরসনের প্রথম পদক্ষেপ বলে মনে করেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তাঁর মতে, ২০২০ সালের অক্টোবরের আগে এলএসি-র সংশ্লিষ্ট এলাকায় ভারতীয় সেনাবাহিনী যে ভাবে টহল দিত, আবার সেই অবস্থা ফিরে আসছে। একই সঙ্গে, তিনি জানিয়েছেন, ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে আস্থা ফেরাতে আরও কিছুটা সময় লাগবে।

Advertisement

গত সপ্তাহে সাউথ ব্লক জানিয়েছিল, সপ্তাহব্যাপী বিভিন্ন মঞ্চে ভারত-চিনের কূটনৈতিক এবং সামরিক মধ্যস্থকারীদের আলোচনায় উভয় দেশ একটি রফাসূত্রে পৌঁছেছে। মুম্বইয়ে আজ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জয়শঙ্কর বলেছেন, ‘‘২০২০ সালের ৩১ অক্টোবরের আগে দেপসাং এবং ডেমচকে ভারতীয় সেনাবাহিনী যে জায়গা পর্যন্ত টহল দিতে পারত, তা আবার পারবে। তবে সেটা হতে কিছুটা সময় লাগবে।’’ তিনি জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে উভয় দেশ মউ সই করেছে সেনা সরানো এবং টহলদারির সীমানা নির্ধারণের বিষয়ে।

২০২০ সালের গলওয়ানে দু’দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘাতের ঘটনা ঘটেছিল। তার পর থেকে ওই পূর্ব লাদাখে এলএসি-তে উভয় দেশের সেনাবাহিনী আধুনিক সমরাস্ত্র মোতায়েন করে। দু’দেশের চুক্তির লক্ষ্য এলএসি বরাবর সংঘাতের সম্ভাবনার অবসান এবং শান্তি ফেরানো। বিদেশমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘সেনা সরানো এবং টহলদারি নিয়ে এখনও কিছু বিষয়ে আলোচনা বাকি রয়েছে।’’ সীমান্তে স্থায়িত্ব বজায় রাখা এবং ওই অঞ্চলের ব্যবস্থাপনা নিয়ে আগামী বৈঠকে আলোচনা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন জয়শঙ্কর। দেপসাং এবং ডেমচক থেকে চলতি মাসের ২৮-২৯ তারিখের মধ্যে সেনা সরাবে দু’দেশ। সে ব্যাপারে নয়াদিল্লি-বেজিংয়ের আলোচনা শুরু হয়েছে।

Advertisement

মহারাষ্ট্রের পুণের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের সঙ্গে আলাপচারিতায় বিদেশমন্ত্রী জানান, পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় যে উত্তেজনার পরিস্থিতি ছিল, তা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে প্রভাব ফেলেছিল। তা নিরসনে যে চুক্তি হয়েছে তাতে তিনটি বিষয়কে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রথমত, সবচেয়ে জরুরি বিষয় হল ভারতীয় ও চিনা সেনাদের নৈকট্যে ঝুঁকির সম্ভাবনা। দ্বিতীয় অগ্রাধিকার, ওই এলাকায় সামরিক উত্তেজনা কমানো। এবং তৃতীয়ত, দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য হল সীমান্তে একটি কাঠামোগত পদ্ধতি তৈরি করা এবং একটি সীমানা মীমাংসার আলোচনা করা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement