—ফাইল ছবি।
বিধানসভা ভোটের আগে পূর্বাঞ্চলী বিতর্কে সরগরম দিল্লির রাজনীতি। আম আদমি পার্টি (আপ) প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়াল বিহার ও উত্তরপ্রদেশ থেকে আগতদের (দিল্লিতে যাঁরা ‘পূর্বাঞ্চলী’ নামে পরিচিত) অপমান করেছেন বলে অভিযোগ তুলে শুক্রবার তাঁর বাড়়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাতে যান বিজেপির নেতা-কর্মীরা। পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়। তাঁদের ঠেকাতে লাঠি চালায় পুলিশ। ব্যবহার করতে হয় জলকামান।
গত ৬ জানুয়ারি দিল্লির ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছিল নির্বাচন কমিশন। খসড়া তালিকার তুলনায় চূড়ান্ত তালিকায় ভোটার বেড়েছে ১.০৯ শতাংশ। তালিকা প্রকাশ হতেই পারস্পরিক দোষারোপে নেমে পড়ে বিজেপি এবং শাসক আপ। বিজেপির চক্রান্তে কয়েক হাজার প্রকৃত ভোটারের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন কেজরীওয়াল। সংবাদ সংস্থা পিটিআই প্রকাশিত খবর অনুযায়ী কেজরী বলেন, ‘‘যাঁদের নাম করে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছিল, তাঁরা সকলে অস্বীকার করেছেন। জানিয়েছেন, তাঁরা কখনওই এ জাতীয় কোনও আবেদন করেনি। এর মানে হল, বড় জালিয়াতি হয়েছে।’’
নয়াদিল্লি বিধানসভার প্রার্থী কেজরী অভিযোগ করেন, তাঁর আসনে ১৩ হাজার নতুন নাম ভোটার তালিকায় ঢোকানো হয়েছে। এর পরেই তিনি বলেন, ‘‘স্পষ্টতই, তাঁরা (বিজেপি) জাল ভোটার হিসাবে ইউপি এবং বিহার থেকে লোক নিয়ে আসছে।’’ বিজেপির অভিযোগ ওই মন্তব্য করে দিল্লির পূর্বাঞ্চলী জনগোষ্ঠীকে অপমান করেছেন কেজরী। দিল্লি বিজেপি সভাপতি বীরেন্দ্র সচদেবের পাল্টা অভিযোগ— ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া আপ নেতৃত্ব পরিকল্পিত ভাবে দিল্লিতে অবৈধ ভাবে বসবাস করে চলা বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। ৭০ আসনের দিল্লি বিধানসভার প্রায় এক তৃতীয়াংশ আসনে পূর্বাঞ্চলী ভোটারদের উপস্থিতি নির্ণায়ক। ফলে ভোটের আগে বিতর্ক নতুন মাত্রা পেয়েছে।