—প্রতীকী ছবি।
মহিলাদের জন্য আসন সংরক্ষণ আইন (নারী শক্তি বন্দন অধিনিয়ম)-এর বিরোধিতা করে দায়ের হয়েছিল আবেদন। কিন্তু শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট সেই আর্জি খারিজ করে দিল। বিচারপতি বেলা ত্রিবেদী এবং বিচারপতি পিবি বরালের বেঞ্চ জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই ১২৮তম সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে আইন প্রণয়ন হয়ে গিয়েছে। এ ক্ষেত্রে বিচারবিভাগের কিছু করণীয় নেই।
‘ন্যাশনাল ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান উইমেন’ (এনএফআইডব্লিউ)-এর তরফে জয়া ঠাকুর সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী হস্তক্ষেপের যে আবেদন জানিয়েছিলেন, তা এ ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় বলে দাবি করেছেন তিনি। লোকসভা এবং বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভায় এক-তৃতীয়াংশ আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে ২০১৩ সালে সংসদে বিল পাশ করিয়েছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। যার পোশাকি নাম, ‘নারী শক্তি বন্দন অধিনিয়ম’। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল ১২৮তম সংবিধান সংশোধনী বিল হিসাবে তা লোকসভায় পেশ করেন। বিলটি সমর্থন করেছিলেন ৪৫৪ জন সাংসদ। বিলে সংশোধন চেয়ে বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিলেন মাত্র দু’জন। রাজ্যসভাতেও বিপুল সংখ্যাধিক্যে পাশ হয়েছিল ওই বিল।
২০২৩ সালে পাশ হওয়ার পরেও আইনটি কার্যকর হয়নি এখনও। কবে কার্যকর করা যাবে, তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। ২০২৭ সালের আদমসুমারি প্রক্রিয়ার পরেই বিল কার্যকর করার কথা বিলের প্রস্তাব রয়েছে। সে ক্ষেত্রে বিল ২০২৯ সালের আগে কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ বলেই ধারণা সংবিধান বিশেষজ্ঞদের একাংশের। তা ছাড়া, মহিলা সংরক্ষণের মধ্যেই জাতিগত সংরক্ষণের যে দাবি, সে বিষয়ের উল্লেখ নেই নয়া আইনে। ফলে সমাজবাদী পার্টি, আরজেডির মতো দল কার্যকর হওয়ার আগেই আইনটি সংশোধনের পক্ষে। ২০১০ সালে মনমোহন সিংহ প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন মহিলাদের জন্য আসন সংরক্ষণ বিল রাজ্যসভায় পাশ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু মোদী সরকার বিলটি নতুন ভাবে পাশ করায় ২০২৩-এ।